ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমে বেড়েই চলেছে। আর এই চলমান স্নায়ুযুদ্ধে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ঢাকা সফরে নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যটিও। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভারতের সেনা অভিযানে ২২ জঙ্গি নিহত হওয়ার পর সেই উত্তেজনা আরও তুঙ্গে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে্ এমনিতেই সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে মুখোমুখি অবস্থানে ছিল ভারত পাকিস্তান। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও বক্তব্যের ভিত্তিতে চলছে রাজনৈতিক উত্তেজনাও।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভারতের সেনাঅভিযানের পর ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর মিয়ানমারের অভ্যন্তরে হামলাকে দৃষ্টান্ত দিয়ে পাকিস্তানেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে হামলার হুমকি দিয়েছেন। এ ছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে ভারত যে কোনো সময় যে কোনো জায়গায় হামলা করতে পারে বলে তিনি বক্তব্য দেন।
রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর বক্তব্যটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে তোলপাড় শুরু হয় পাকিস্তানে। পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়ে পাকিস্তানও তাদের এটম বোমার হুমকি দেন। এ ছাড়া শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য প্রতিবেশি দেশটির প্রতি আহ্বান জানান।
ভারতের প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের উত্তরে পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরি নেসার আলী বোধবার বলেন, ভারতকে ভালভাবে বোঝা উচিত, পাকিস্তান মিয়ানমারের মত নয়। সেই সঙ্গে তিনি ভারতের নেতাদের দিনের বেলা জেগে জেগে স্বপ্ন না দেখার জন্য আহবান জানান। এ বিষয়ে ভারকে আরেকটু হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, পাকিস্তান এটম শক্তির নাম। যে কোনো আগ্রাসনে উত্তর দেওয়ার মত ক্ষমতা পাকিস্তান রাখে।
অপরদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় দেওয়া বক্তব্যেও ঝড় বয়ে যায় পাকিস্তানে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে ঢাকায় বক্তৃতার সময় নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, পাকিস্তান প্রতিনিয়ত ভারতের জন্য উপদ্রপ সৃষ্টি করছে, সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েই যাচ্ছে।
মোদির বক্তৃতা প্রসঙ্গে পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কাজী এম. খলিলউল্লাহ বলেছেন, মোদির বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন প্রতিবেশী দেশের প্রতি ভারতের নেতিবাচক ভূমিকা পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। এ সময় তিনি বলেন, ভারতের রাজনীতিকরা শুধুমাত্র জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘনই করছেন না বরং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে তারা গর্ববোধ করছেন। এজন্য মোদির বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলকে নোট করার জন্য আহবান জানান। তথ্য সূত্র : ডন নিউজ
Discussion about this post