গত সপ্তাহে ঢাকা সফরের সময় ‘পাকিস্তান উপদ্রব সৃষ্টি করছে এবং সন্ত্রাসবাদকে মদদ দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারতকে বিপদে ফেলতে চাইছে’ বলে নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্যের পর থেকে পাকিস্তানে ক্ষোভ চলছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কাজি খলিলুল্লাহ দুদিন আগেই বলেছিলেন, “মোদীর বক্তব্য প্রতিবেশী সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভারতের নেতিবাচক ভূমিকার বিষয়ে পাকিস্তানের বক্তব্যকেই প্রমাণ করে।”
এরপর প্রতিবেশী দেশের সরকার প্রধানের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সিনেটে বৃহস্পতিবার নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেন পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষের সরকারি দলের নেতা রাজা জাফরুল হক।
তিনি বলেন, “ভারতের এই ধরনের আচরণ অগ্রহণযোগ্য। তা একই সঙ্গে প্ররোচনামূলক ও আগ্রাসীও। নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের মধ্যদিয়ে ভারতের আধিপত্যবাদী বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটেছে।”
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যখন পাকিস্তানের গোটা দেশবাসী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য সন্ত্রাসীদেরই উৎসাহ জোগাতে পারে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থি দাবি করে এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগও আকর্ষণ করেছে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট।
এদিকে মিয়ানমারের ভেতরে ঢুকে ভারতের সেনাবাহিনীর অভিযানের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের কোনো ঘটনা পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ঘটাতে এলে তার যথাযথ জবাব দেওয়ার হুমকিও নয়া দিল্লিকে দিয়েছে পাকিস্তান পার্লামেন্ট।
Discussion about this post