বিডি ল নিউজ: কারাগারের অন্য নাম সংশোধনাগার আর এর দায়িত্বে যারা থাকেন তাদেরও হতে হয় সচেতন এবং অপরাধহীন। কিন্তু সেখানেই যদি ত্রুটি থাকে তাহলে অপরাধীদেরকে কীভাবে সংশোধন করা সম্ভব?
বন্দিদের সাথে দায়িত্বপালনকালে মোবাইল ব্যবহার ও মাদক সেবন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু, এই দুই অপরাধের অভিযোগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তিনসহ চার কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিন জনকে রোববার ও একজনকে শনিবার বরখাস্ত করা হয় বলে কারা অধিদপ্তরের উপ মহাপরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
এরা হলেন- ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জুয়েল খান, সুরুজ্জামান ও শাওন হাওলাদার এবং রাজবাড়ি কারাগারের কারারক্ষী মেহেন নবী।
তৌহিদুল বলেন, “ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে আফসার উদ্দিন নামে এক বন্দি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল জুয়েল খান এবং সুরুজ্জামান।
“শনিবার রাতে আকস্মিক পরিদর্শনের গিয়ে এই দুই কারারক্ষীর কাছে চালু মোবাইল সেট পাওয়া যায়, যা নিয়ম বর্হিভূত।” ওই হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসাধীন আরেক বন্দি তোফায়েল আহমেদের ওখানে দায়িত্বরত কারারক্ষী শাওন হাওলাদারের কাছেও মোবাইল পাওয়া যায় বলেন তিনি জানান।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কারারক্ষীর মাধ্যমে বন্দিদের মোবাইল ব্যবহারে সুযোগ রয়েছে। এ কারণেই কোনো বন্দির সাথে দায়িত্বপালনকালে কোনো কারারক্ষী মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে না এমন নিয়ম রয়েছে। “এই তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।”
এছাড়া রাজবাড়ি কারাগারের কারারক্ষী মেহেন নবীর বিরুদ্ধে ইয়াবা সেবনের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকেও সাময়িক বরখাস্ত করার পর বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। এই কারা কর্মকর্তা জানান, গোয়েন্দা প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতেই তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post