জামালপুর জেলায় যমুনার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে পানির এ প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার জানিয়েছেন।
টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যার পানি বেড়েই চলছে। এতে সদ্য রোপিত হাজার হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন, সবজি খেত ও অসংখ্য বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। সহসা বন্যার পানি না কমলে এসব বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা।
এদিকে, ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জীবন আরা জানান, বন্যার পানিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ইসলামপুর উপজেলায় ৬০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান জুবায়দুর রহমান দুলাল জানান, পানির তোড়ে কুলকান্দি পাইলিং এর বিশাল অংশ নদীতে বিলীন হয়েছে।
এদিকে চিনাড়ুলি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম, পার্থশী ইউপির চেয়ারম্যান হাসমত আলী খান, সাপধুরি ইউপির চেয়ারম্যান সুরুজ মন্ডল জানান, বন্যার পানিতে দেওয়ানগঞ্জের চুকাইবাড়ী, চিকাজানী, পুরাতন বাহাদুরাবাদ, ইসলামপুর উপজেলার হরিণধরা, জিগাতলা, চরবেড়কুশা, বরুল, মুন্নিয়া, সিন্দুরতলি, খলিসাকুড়ি, মুখশিমলা, মোরাদাবাদ, খানপাড়া, চরচেঙ্গানিয়া, প্রজাপতি, চরশিশুয়া এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকা দেওয়ানগঞ্জ, বকশিগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও জামালপুর সদর উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নের মধ্যে কমপক্ষে ৩৬টি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তিন লাখ মানুষ।
Discussion about this post