যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতিসহ ১২টি পদে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। সেক্রেটারিসহ ৫টি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
সভাপতি পদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শরীফ আব্দুর রাকিব। তার প্রাপ্ত ভোট ২৪৬। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী ফোরামের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক পেয়েছেন ২১৪ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয়তাবাদী ফোরাম প্যানেলের অ্যাডভোকেট এমএ গফুর। তার প্রাপ্ত ভোট ২৬৭। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডভোকেট ইদ্রিস আলী পেয়েছেন ২০০ ভোট।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বার সমিতির ১ নম্বর ভবনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। নির্বাচনে সমিতির মোট ৪৮৬ জন ভোটারের মধ্যে ৪৭০জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়ে চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন বার সমিতির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইসমত হাসার।
মোট ১৭টি পদের মধ্যে ১২টি পদে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ প্যানেল থেকে নির্বাচিতরা হচ্ছেন-সভাপতি পদে প্রবীণ আইনজীবী এডভোকেট শরীফ আব্দুর রাকিব, সহ-সভাপতি পদে তাজলিমুর রহমান স্বপন, যুগ্ম সম্পাদক পদে সিরাজুল ইসলাম লেন্টু, সহকারী সম্পাদক পদে পলক কুমার মিত্র। এছাড়া এ প্যানেল থেকে সদস্য পদে শাহীনা আক্তার সুবর্ণা, জাহাঙ্গীর আলম, শাহনাজ পারভীন ছন্দা, ইকরামুল ইসলাম মুকুল, বশির আহম্মেদ খান, গোলাম নবী, আফরোজা সুলতানা রনি এবং আব্দুল্লাহ আল মাসুদ নির্বাচিত হয়েছেন।
জাতীয়তাবাদী ঐক্য ফোরাম প্যানেলের নির্বাচিতরা হলেন- সাধারণ সম্পাদক পদে এম এ গফুর, সহ-সভাপতি পদে বোরহান উদ্দিন জাকির, সহকারী সম্পাদক পদে বিএম জাফর আলতাফ, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে মিজানুর রহমান। এ প্যানেলের আব্দুল লতিফ মোড়ল ও মাহমুদা খানম সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় একজন সদস্য পদের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে।
আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন অ্যাডভোকেট ইসমত হাসার। সদস্য ছিলেন আব্দুল গফুর, শহিদুর রহমান, আজিমুশ্বান ও আজিজুল ইসলাম।
Discussion about this post