এস এইচ সৈকত, সিলেট থেকে ফিরেঃ যুবলীগ কর্মী আব্দুল আলী খুনের নেপথ্যে সরকারি কৌশলী (এপিপি) অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমানসহ তিন আইনজীবীর নাম উঠে এসেছে।
অন্য দু’জন হলেন- অ্যাডভোকেট আজমল আলী ও হাবিবুর রহমান ভুট্টু। তাদের যোগসাজশে পাথর ব্যবসার নিয়ন্ত্রক শামীম বাহিনীর আলফু চেয়ারম্যানসহ অন্যরা আব্দুল আলীকে কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করেন। নিহতের স্ত্রী হালিমা আক্তার দায়েরকৃত মামলায় এমনটি উল্লেখ করেছেন। মামলার এজহারে আরও উল্লেখ করা হয়, সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমানের বাড়ি উপজেলার তেলিখালে, অ্যাডভোকেট আজমল
হোসেনের বাড়ি মাঝেরগাঁও, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ভুট্টুর বাড়ি পার্শ্ববর্তী পশ্চিম বর্ণি গ্রামে। তাদের সঙ্গে পাড়ুয়া গ্রামের রফিকদের যোগসাজশে ও পরামর্শে খুনের এ ঘটনা ঘটনানো হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারিতে আধিপত্য ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব
থেকে খুনের এ ঘটনা ঘটে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঈদ-উল আযহার আগে দফায় দফায় বৈঠক হয় নগরীর দু’টি স্থানে। এর মধ্যে নগরীতে অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমানের চেম্বারে ও নগরীর
মির্জাজাঙ্গাল নির্ভানা ইন হোটেলে। দু’দফা বৈঠকে অংশ নেন কোম্পানীগঞ্জের পাড়ুয়া গ্রামের শামীম, শামীমের সার্বক্ষণিক সঙ্গী সফিক মেম্বার, রফিক, আলফু মিয়া, আকদ্দছ আলী, আলী হোসেন, বর্ণি গ্রামের অ্যাডভোকেট টিপু, অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান ওঅ্যাডভোকেট আজমলহোসেন। বৈঠকের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয় গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) কাটাগাঙ এলাকায় যুবলীগ নেতা আব্দুল আলীকে খুন করে। এতোদিন খুনিরা শুধু সুযোগের অপেক্ষায়
ছিলেন। তবে, খুনের ঘটনার পরিকল্পনা আব্দুল আলীও জানতেন। ঘটনাটি তার স্বজনদেরও বলেছিলেন। সেই থেকে সতর্ক হয়ে চলাফেরা করতেন বলে মামলায় উল্লেখকরা হয়। এজাহারে হালিমা উল্লেখ করেন, তার স্বামী একজন পাথর ব্যবসায়ী। পাশাপাশি এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক
কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন, এলাকায় আধিপত্য ও নেতৃত্ব নিয়ে তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলফু মিয়ার সঙ্গে বিরোধের সূত্রপাত। এরই জের
ধরে আলফু মিয়া মাসখানেক আগে আব্দুল আলীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেন।
হত্যার পরিকল্পনায় অংশগ্রহণকারীরাসহ খুনের ঘটনায় এজাহারে ৩০ জনের নাম উল্লেখ
করা হয়েছে।
অন্যরা হলেন- আলী বক্স, কাছিম আলী, কাছাব আলী, আতাবুর রহমান, সফিক মিয়া, রুস্তম
আলী, নূরুল ইসলাম, মোশাহিদ আলী, আলী রাজ, আলী আব্বাস, মোছব্বির আলী, মসলিম, আব্দুল হাই গাজী, মহন, জমির আলী, আলী আহমদ, কামাল, সোয়েদ, আলাল, রহিম আলী,
আব্দুল মজিদ, হেলাল, সফিক মেম্বার, ওয়াস কুরুনি, দুদু মিয়া, ফজর আলী, দিলাল।
এদের মধ্যে আলফু চেয়ারম্যানসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Discussion about this post