১৮৯৮ সালের পরে সময়ের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধের মাত্রা, অপরাধপ্রবণতা ও অপরাধ সংঘটনের কৌশল নতুন আকারে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় সরকার গত কয়েক বছর পর্যন্ত ক্রমাগত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত অপরাধসমূহ রোধের জন্য ও দমনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিশেষ বিশেষ আইন যথা,
বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪,
নারী নির্যাতন (নিবর্তক শাস্তি) অধ্যাদেশ-১৯৮৩,
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০,
আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন-২০০২,
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ ইত্যাদি আইন প্রণয়ন করা ছাড়াও ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনে কিছু নতুন ধারা সংযোজন যথা ৩২৬-এ (এসিড নিক্ষেপের জন্য মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত শাস্তির বিধান) ও আরো কিছু ধারায় কঠোর শাস্তির বিধান করা হয়েছে।
এসব আইনের আওতাভুক্ত অপরাধ আমলযোগ্য এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অপরাধ শুধু আমলযোগ্যই নয়, জামিন অযোগ্যও।
এ ছাড়া অস্ত্র আইনের এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের অপরাধগুলোও আমলযোগ্য অপরাধ। এসব আইনের আওতায় আসামিকে সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে গ্রেপ্তার করাটা প্রকৃত আইন ও পদ্ধতি।
Discussion about this post