নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে সালমা আক্তার সুমী নামে এক গৃহবধূকে এক মাস ঘরে আটক রেখে নির্যাতন চালিয়েছে স্বামী-সতীন, দেবরসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার তারাব এলাকা থেকে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত দেবরকে আটক করে পুলিশ।
নির্যাতিত গৃহবধূ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে তারাব এলাকার আরব আলীর ছেলে কোরবান আলীর সঙ্গে তারাব বাজার এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে মায়ার বিয়ে হয়। এর পর প্রেমের ফাঁদে ফেলে ছয় মাস আগে কোরবান আলী তারাব দক্ষিণপাড়া এলাকার জলহত মিয়ার মেয়ে সালমা আক্তার সুমীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
বিয়ের পর থেকেই সতীন মায়া, স্বামী কোরবান আলী, দেবর শিপু, ফুফু শাশুড়ি শেলিসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুমীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকায় সালিশ-বৈঠক হলে কিছুদিন নির্যাতন বন্ধ ছিল। কিছুদিন পরে আবার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর নির্যাতন শুরু করেন। এক মাস ধরে তাকে ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন চালাতে থাকেন।
রোববার সকালে সুমীর হাত-পা বেঁধে ফেলে ফেলা হয়। পরে প্রকাশ্যে জোর করে তার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে দেয়। একপর্যায়ে সুমীর চুল কেটে ফেলা হয় এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেতলে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে নির্যাতিত সুমীর মা তাসলিমা বেগম থানায় খবর দেন। পরে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমীকে উদ্ধার করে। এসময় অভিযুক্ত দেবর শিপুকেও আটক করা হয়। তবে স্বামী-সতীনসহ অন্য অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
নির্যাতিত সুমীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সুমীসহ পরিবারের লোকজন নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Discussion about this post