ডেস্ক রিপোর্ট
যৌতুকের দাবিতে টাঙ্গাইলের বাসাইলে প্রথম স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আবুল হোসেনকে দেওয়া বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। রায়ের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) এ বিষয়ে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) গ্রহণ ও আসামির আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আজ আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম আশরাফুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশিদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই বাসাইল উপজেলার সোনালিয়া গ্রামের আবুল হোসেন ব্যবসা করার কথা বলে তার স্ত্রী খোদেজা বেগমকে বাবার বাড়ি থেকে ১০ হাজার টাকা এনে দিতে বলেন। পরে খোদেজা বেগম স্বামীর কথা মতো বাবার বাড়ি করটিয়া কলেজ পাড়ায় যান এবং তার বাবার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা সংগ্রহ করে এনে দেন।
এতে আবুল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জালানি বেগম মিলে খোদেজাকে বেদম মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে খোদেজা বেগম মারা যান।
পরে এ ঘটনায় নিহত খোদেজার চাচা শহিদুল ইসলাম শহিদ বাদী হয়ে বাসাইল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ আবুল হোসেন ও জালানি বেগমকে গ্রেফতার করে।
এ মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালে ৯ মে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ উদ্দিন আহমেদ রায় দেন। রায়ে আবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে জালানি বেগমকে খালাস দেন ট্রাইব্যুনালপর ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের নথি) হাইকোর্টে আসে। আর আসামি আপিল ও জেল আপিল করেন। দুটির একসঙ্গে শুনানি শেষে আজ এই রায় দেন আদালত।
Discussion about this post