যৌতুক মামলার আসামীকে মারধর করেছে বাদীর স্বজনরা। ২১ মার্চ বুধবার দুপুরে বরিশাল আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের ২০ গজ সামনে মারামারি হলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গৌরনদী উপজেলার শরিকল এলাকার মন্নান সিকদারের ছেলে শাহাবুদ্দিন সিকদার যৌতুক মামলায় হাজিরা দিতে বরিশাল আদালতে আসে। এডভোকেট জাফর হোসেন হিরনের মাধ্যমে হাজিরা দিয়ে নির্মাণাধীন আদালত ভবনের সামনে যায়। এসময় দলিল উদ্দিন মোল্লা নামে একজন এসে তাকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীরা শাহাবুদ্দিনকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। আদালত ফটকে দায়িত্বরত পুলিশ ছুটে আসলেও কাউকে আটক না করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারী আদালতের মধ্যে রয়েছে বলে অজুহাত দেখিয়ে কাউকে আটক করেনি। এব্যাপারে হামলার শিকার শাহাবুদ্দিন জানায়, গতবছর ২৫ এপ্রিল বাবুগঞ্জ উপজেলার খানপুরা এলাকার সাইফুল সিকদারের মেয়ে তানজিলা আকতার যুথীকে তিনি পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই যুথী তার বাবার বাড়ি চলে যায়। আনতে গেলে আর ফিরে আসেনি। উল্টো মিথ্যে অভিযোগ এনে যৌতুক মামলা দেয়। ওই মামলায় হাজতবাসও করতে হয়েছে। জামিন পেয়ে যুথীকে নিতে চাইলেও সে যায়নি। দলিল মোল্লা যুথীর কেউ হয়না। তাদের বাড়ি একই এলাকায়। যুথী তাকে নানা নানা ডাকে। যুথী তাকে ছাড়া কিছু বুঝেনা। হাজিরা দিতে আসলে দলিল এসে তাকে মারধর করে। পুলিশের কাছে নালিশ জানালেও পুলিশ তাকে আটক করেনি। শাহাবুদ্দিনের বাবা মন্নান সিকদার বলেন, যুথীর সাথে দলিলের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে।এ কারনে বিয়ের পরেও যুথী স্বামীর বাড়ি থাকেনি। মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। যুথী আদালতে বলেছে সে শাহাবুদ্দিনের সাথে যাবেনা। দলিল আদালত চত্বরের মধ্যে বসেই শাহাবুদ্দিনকে মারধর করেছে। দলিলের কোন মামলা ছিলনা। পুলিশ আসার পর সে আদালতের বারান্দায় গিয়ে অবস্থান নিয়ে শাহাবুদ্দিনকে হত্যা করার হুমকই দেয়। পুলিশকে জানালেও পুলিশ তাকে আটক করেনি। এব্যাপারে দলিল সহ তিনজনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত আগামী মাসের ১২ তারিখ শুনানির জন্য রেখে দেন। অপরদিকে দলিল মোল্লা মারধর করার কথা অস্বীকার করেন। আদালতের গেটে ডিউটিরত এস আই জসিম উদ্দিন বলেন, মারামারি দেখিনি শুনেছি। থানাপুলিশকে জানানো হলে পুলিশ এসে হামলাকারীকে পায়নি। এদিকে আদালত চত্বরে মারামারির ঘটনাকে আদালতের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত সংশ্লিষ্টরা। তারা জানায়, আদালত চত্বরে এভাবে মারামারি হলে যদি তাতক্ষনিক ব্যবস্থা না নেয়া হয়।তাহলে আইন, আদালতের প্রতি সাধারণ মানুষ আস্থা হারাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
Discussion about this post