বিডিলনিউজঃ
১৮ দলীয় জোটের ঢাকা অভিযাত্রা কর্মসূচিতে মাঠে নেই জামায়াত-শিবির। রাজধানী কেন্দ্রিক টানা দুদিনের এ কর্মসূচিতে তাদের কোনো তত্পরতাই চোখে পড়েনি। হঠাৎ করে হাওয়া হয়ে গেছে তাদের নেতাকর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে ক্রমশ দুর্বল হয়ে তারা এখন হতাশ, সংশ্লিষ্ট সূত্র এমন তথ্যই জানিয়েছে।
জানা গেছে, জোটের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দলটির ঢাকা মহানগর ও আওতাধীন থানার নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। কর্মসূচি নিয়ে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে গোপনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসব বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় জানবাজি রেখে তারা যে কোনো মূল্যে কর্মসূচি সফল করবেন। এজন্য ঢাকার প্রবেশ পয়েন্টসহ মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রায় ৩০টি পয়েন্ট বেছে নেয়া হয়। কথা ছিল বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর শোডাউনের পাশাপাশি ছোট ছোট গ্রুপে রাজধানীর এসব স্পটে বোমাবাজি করে রাজধানী দখলে নেবেন। প্রস্তুতি ছিল নাশকতারও। এজন্য ঢাকার বাইরে থেকে তাদের প্রশিক্ষিত ক্যাডারদের রাজধানীতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু কর্মসূচির শুরু থেকেই তাদের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠিন বাধার মুখে পড়েন। প্রথম দিনে মালিবাগে এক ঝলক দেখা গেলেও গত দুদিনে তাদের নেতাকর্মীরা একেবারে হাওয়া হয়ে গেছেন। রাজধানীর একটি স্পটেও তাদের কাউকে দেখা যায়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রবল প্রতিরোধ ব্যবস্থার কারণে একেবারে কোণঠাসা জামায়াত-শিবির। মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছেন তাদের নেতাকর্মীরা। জোটের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তাদের একে একে সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে। সন্দেহপ্রবণ রাজধানীর সব স্থানেই এখন চলছে পুলিশি অভিযান। এতে গান পাউডার, ককটেল-হাতবোমাসহ বিস্ফোরক নিয়ে ধরা পড়ছেন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। এ অবস্থায় তাদের রাজধানীতে টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। মহানগর জামায়াতের এক সহকারী সেক্রেটারি দাবি করেন, ‘জামায়াত-শিবির মোটেই দুর্বল নয়। কৌশলের অংশ হিসেবে নিজেদের মতো করেই আমরা মাঠে আছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে বর্তমানে আন্দোলনরত নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি করে মানুষ মারছে।’
Discussion about this post