তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত হাদীউজ্জামান হাদী গত ১৫ আগস্ট শহীদ মিনারে অসদাচারণ করায় তাকে শাসানো হয়। এরই প্রেক্ষিতে হাদী ওই ছাত্রীকে জিম্মী করে ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য করে। তবে মেহেদী হাসান শিশির অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিকভাবে জবাব দিতে না পেরে হাদী এমন পন্থা অবলম্বন করেছেন। এ সময় শিশির গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, গণমাধ্যমগুলো কোনো তদন্ত ছাড়াই ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তিনি প্রকাশিত এসব প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেহেদী হাসান শিশির বলেন, শাওনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি প্রকৃত দোষীদের বিচারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মাহমুদ হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল প্রমুখ।
রংপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। প্রমাণ মিললেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার যৌন নিপীড়ন ও মারপিটের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী উম্মে হাবিবা আশা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান শিশির, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মাহমুদ হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম, শাওন আহমেদ শুভ, আদনান ও শামীমের নাম উল্লেখ করে রংপুর কোতয়ালী থানায় মামলা করেন।
Discussion about this post