সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এ জানায় যে, প্রতি তিনজন নারীর একজন জীবনসঙ্গীর দ্বারা শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। তাছাড়া ৭ শতাংশ নারী সঙ্গী নয়, এমন পুরুষের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়।
গোটা বিশ্ব যখন নারীর অধিকার রক্ষায় এবং নারী নির্যাতন রোধে সংকল্পবদ্ধ, সকল দেশের সকল সরকার যখন এবিষয়ে উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ঠিক এমনই এক সময় এক প্রতিবদেনে এ তথ্য জানালো সংস্থাটি। গত ২১ নভেম্বর প্রকাশিত হয় এই প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে এখন ১০০ থেকে ১৪০ মিলিয়ন নারী এবং কিশোরী যৌন নির্যাতনের ফলে অঙ্গহানীর শিকার হচ্ছে। এর মাঝে শুধুমাত্র আফ্রিকা মহাদেশেই এর সংখ্যা ৩ মিলিয়নের বেশি। এছাড়া ৭০ মিলিয়নের বেশি নারীর ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে হয়ে যায়।
এই সমস্যা নিরসনে ওই প্রতিবেদনে পাঁচটি করণীয় বিষয়ে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মাঝে প্রথমেই বলা হয়েছে, গুরুত্বের ওপর ভিত্তি করে নারী নির্যাতনের কারণসমূহ সন্ধান ও নারীর স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে, বৈষম্যমূলক বিষয়গুলো সমাজ থেকে দূরীভূত করতে হবে।
প্রতিবেদনে তৃতীয় পদক্ষেপ হিসেবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, নির্যাতনমূলক ও কুৎসা রটনা করে এমন আচরণে অনুৎসাহিত করতে ব্যক্তি এবং সরকার পর্যায়ে প্রকল্প অনুমোদন এবং অর্থের যোগান দিতে হবে। চতুর্থত, রাষ্ট্রে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ন্যায়বিচার এবং অন্যান্য বিষয়গুলো সুনিশ্চিত এবং সংরক্ষণ করতে হবে। এবং সর্বশেষ পরামর্শ হিসেবে সংস্থাটি বলে, গবেষণা এবং অন্যান্যখাতে অবশ্যই পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে, যাতে নারী-পুরুষ উভয়ই আত্মোন্নয়নকরতে পারে।
Discussion about this post