
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনে অভিযোগ পেলে দেশে ফেরত পাঠানো হবে- এমন বিধান রেখে একটি প্রস্তাব পাস করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে কয়েক বছর ধরে উঠা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রথমবারের মতো এ রকম কোনো প্রস্তাব পাস করলো নিরাপত্তা পরিষদ।
নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৪টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে মিসরের কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব গ্রহণ না করায় ভোটদান থেকে বিরত থাকে দেশটি। প্রস্তাব অনুসারে কোনো শান্তিরক্ষীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
কয়েক বছর ধরেই জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের ১০টি মিশনের শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনের ৬৯টি অভিযোগ জমা পড়ে। আগের বছর এমন অভিযোগের সংখ্যা ছিল ৫২টি।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে সামরিক সদস্য, আন্তর্জাতিক পুলিশ, অন্যান্য শাখার কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের বিরুদ্ধেই মূলত বেশিরভাগ অভিযোগ উঠেছে। সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ ওঠে আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয় কয়েকটি দেশের শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে।
জাতিসংঘের আইন অনুসারে, কোনো শান্তিরক্ষীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে, সংশ্লিষ্ট দেশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু এ ধরণের ঘটনা রোধে জাতিসংঘের ব্যর্থতা রয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।
নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া খসড়াটি করেছে যুক্তরাষ্ট্র; এতে বলা হয়েছে, যেসব শান্তিরক্ষী বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। ওই অভিযোগ তদন্তে শান্তিরক্ষী কন্টিনজেন্টের গাফিলতি দেখা গেলে, পুরো দলটিকেই দেশে পাঠানো হবে।
তবে শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বিষয়ে এমন প্রস্তাব পাসে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কয়েকটি দেশ। তাদের মতে, প্রস্তাবের ফলে শান্তিরক্ষা বাহিনীর নিরপরাধ সদস্যরাও শাস্তির শিকার হতে পারেন। -বিবিসি




Discussion about this post