আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের রাজধানী দিল্লিতে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৭ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। সেখানে অবাদে লুটপাট চলছে। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ১৪৪ ধারা জারি ও সেখানে সব ধরণের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগাম সতর্কতা স্বরূপ দিল্লি সরকার উত্তর-পূর্ব দিল্লি জেলায় সমস্ত বেসরকারি এবং সরকারি স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। দিল্লি মেট্রো জাফরাবাদ, মৌজপুর-বাবরপুর, গোকুলপুরী, জোহরি এনক্লেভ এবং শিববিহার স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে এমন সংঘর্ষ চলছে বলে জানিয়েলে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
সোমবার আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দিনের ভারত সফরে আসার প্রাককালে দিল্লিতে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ শুরু হয়। চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয় উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে। পাথর ছোঁড়া, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, এবং দোকানে দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানীর বিস্তীর্ণ এলাকা। সংঘর্ষে বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে রতন লাল নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরো ৬ সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছেন।
এই ঘটনার পর এলাকার পরিস্থিতি বিবেচনায় দিল্লি পুলিশের প্রধান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে গভীর রাতে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
জানা গেছে, সংঘর্ষ চলাকালীন দমকলের ইঞ্জিনেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া পাথরের আঘাতে আহত হন ৩ দমকলকর্মী। সেই ঘটনার রেশ এখনও রয়েছে সেখানে, মঙ্গলবারও উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে উত্তেজনা বজায় রয়েছে, চলছে অবাধে লুটপাট।
এদিকে সোমবার বিকালে স্বস্ত্রীক ভারত সফরে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ভারতের মাটি পা দেয়ার আগে থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। সরকারি একটি সূত্রের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট উপস্থিত থাকাকালীন যাতে এই ধরনের ঘটনা ঘটে, সেটা পরিকল্পনা মাফিকই করা হয়েছে। যদিও আরও উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করে এই ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন এক পদস্থ অফিসার। (সূত্র: এনডিটিভি, ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ও ইন্ডিয়া টুডে)
Discussion about this post