আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাখাইনে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নিপীড়নকে গণহত্যা নয়, সেনাদের যুদ্ধাপরাধ বলে জানিয়েছে মিয়ানমার সরকারের গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) মিয়ানমারের দ্য ইনডিপেনডেন্ট কমিশন অব এনকোয়ারি বা আইসিওইর প্রকাশিত প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বলছে, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালত রাখাইনে গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে রুল জারি করা হবে কিনা সে ব্যাপারে ২৩ জানুয়ারি আদেশ দেবেন। তার আগেই এ প্রতিবেদন প্রকাশ করলো মিয়ানমার।
সোমবার এক বিবৃতিতে কমিশন জানায়, ২০১৭ সালে রাখাইনে সেনা অভিযানের সময় বৈশ্বিক বিভিন্ন পক্ষ গণহত্যার অভিযোগ তুললেও বাস্তবে এর আলামত মেলেনি। কমিশন এও মনে করে, অভিযানে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে ‘যুক্তিসংগত কারণ’ থাকতে পারে।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর কিছু সেনা সদস্য যুদ্ধাপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কাজ করেছে। তারা নিরীহ মানুষের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তবে এই অপরাধ কোনোভাবেই গণহত্যা হিসেবে বিবেচিত নয় বলে উল্লেখ করেছে আইসিওই প্যানেল।
মিয়ানমারের গঠিত কমিশনের এই তদন্তকে ‘শুরু থেকে গভীর ত্রুটিযুক্ত’ বলে জানিয়েছে দ্য বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকে (বিআরওইউকে)। পাশাপাশি, কমিশনের ম্যান্ডেট নিয়ে উদ্বেগ ও তাদের কাজে স্বাধীনতার অভাব ছিল বলেও দাবি করেছে তারা।
সংস্থাটির মুখপাত্র তুন খিন এক বিবৃতিতে এ তদন্ত প্রতিবেদনকে ‘চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক আদালতের রুল থেকে দৃষ্টি ফেরানোর বিশ্রী চেষ্টা’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, এটা রোহিঙ্গা গণহত্যাকে কার্পেটের নিচে চাপা দেয়ায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের খুবই সাধারণ একটা চেষ্টা।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযানের জেরে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা সীমানা পেরিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। বর্তমানে এসব রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছে।
Discussion about this post