রাঙামাটি প্রতিনিধি: ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) এক কর্মী খুন হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) সকালে নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ জানিয়েছেন, দলীয় পাল্টাপাল্টি হামলার কারণে এ দুটি খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহতরা হলেন ইউপিডিএফ কর্মী জনি তঞ্চঙ্গ্যা (৪০) এবং জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কর্মী পঞ্চায়ন চাকমা ওরফে সাধন চাকমা (৩০)।
এ ছাড়া জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কর্মী কালোময় চাকমাকে (২৯) অপহরণ করার অবিযোগ পাওয়া গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে নানিয়ারচর উপজেলার ২ নম্বর সাবেক্ষং ইউনিয়নের ফরেস্ট অফিস এলাকায় ইউপিডিএফ সদস্য জনি তঞ্চঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (এমএন লারমা) দায়ী করে ইউপিডিএফ।
তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) অন্যতম শীর্ষ নেতা ও নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এসব ইউপিডিএফের মিথ্যা অপপ্রচার, ভাঁওতাবাজি। তারা হত্যা, গুম, খুনের রাজনীতি করে, আমরা নই।’
জনি তঞ্চঙ্গাকে হত্যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পঞ্চায়ন চাকমা ওরফে সাধন চাকমা (৩০) ও কালোময় চাকমাকে (২৯) পেরাছড়া এলাকা থেকে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) নেতা সুদর্শন চাকমা। তিনি এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেন।
সুদর্শন চাকমা আরো বলেন, ‘অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর পঞ্চায়ন চাকমার গলাকাটা লাশ কেঙ্গালছড়ি এলাকায় একটি সেতুর ওপর ফেলে যায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা।’ তবে কালোময় চাকমার ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
Discussion about this post