ডেস্ক রিপোর্ট
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা দখলে রাখার অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা তাহমিদ ইসলাম মিলনের স্ত্রী মোসা. নেকলেস ইসলাম পলিকে পৃথক দুই ধারায় চার বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় নেকলেস ইসলামকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। আর দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় তাকে আরও তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, দুই লাখ ২৫ হাজার ৪৬০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এছাড়া অসাধু উপায়ে অর্জিত ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৪৬০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন আদালত। উভয় ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা থেকে জানা যায়, নেকলেস ইসলাম একজন গৃহিণী। তার দৃশ্যমান কোনো আয়ের উৎস নেই। তার স্বামী তাহমিদুল ইসলাম ১৯৯১ সাল থেকে কনিষ্ঠ হিসাব সহকারী ও ২০০২ সালে মামলা দায়ের হওয়া পর্যন্ত রাজউকের হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্বামীর দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে নেকলেস ইসলাম জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর সম্পদ বিবরণী দাখিলে নোটিশ দেয় দুদক।
নেকলেস ইসলাম ২৮ অক্টোবর দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৪ লাখ ১২ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদ প্রদর্শন না করে গোপন করেন। মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং নিজ নামে অর্জিত ৯৬ লাখ ৯৫ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদের মধ্যে ৩৫ লাখ সাত হাজার ২৪০ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ দখলে রাখেন।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম রমনা থানায় মামলাটি করেন। ২০১৭ সালের ৪ জুলাই নেকলেস ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদক।
Discussion about this post