ঈদ উদযাপনে রাজধানীবাসী যখন ঘরমুখো, সে সময়ে সুযোগ নিচ্ছেন পরিবহন মালিকরা। বছরজুড়ে যেসব গাড়ি রাজধানীতে চলাচল করে সে গাড়িগুলো এখন যাত্রীবোঝাই করে চলে যাচ্ছে রাজধানীর বাইরে। আর তাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জীবিকার টানে রাজধানীতে থাকা মানুষগুলো। পাশাপাশি মাঝেমধ্যে ছিঁটেফোঁটা বৃষ্টি ভোগান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে বহুগুন।
এদিকে গাড়ির অভাবে রাজধানীর বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে বহু মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অপেক্ষার পর যখনই কোনো গাড়ি আসছে সেটি কোন রুটে যাবে তা না জেনেই হুমড়ি খেয়ে মানুষজনকে উঠতে দেখা গেছে। শুধু লোকাল গাড়ি নয়, এ সুযোগে সিটিং গাড়িগুলো যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলছে।
মিরপুর নতুনবাজার রুটে চলাচলকারী জাবালে নূর পরিবহনের এক কন্ট্রাকটর জানান, আমাদের সব গাড়ি ঢাকার বাইরে রিজার্ভ চলে গেছে। বর্তমানে ৬টি গাড়ি চলাচল করছে। আমার গাড়িও বিকেলে যাবে।
পূরবীতে দেখা যায়, সিটিং সার্ভিসের তকমা লগিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী গাড়িগুলো রাস্তার পাশে যাত্রীবোঝাই করে দাঁড়িয়ে আছে। ভেতরে দাঁড় করিয়ে নেওয়া হচ্ছে যাত্রী। শুধু তাই নয়, বাদ যায়নি বাসের ছাদও। তাতেও যাত্রীর ঠাসাঠাসি।
রাজধানীর মিরপুর ১০, পূরবী, বিশ্বরোড, বাড্ডা, নতুন বাজার, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন সড়কে দেখা যায়, বহু যাত্রী গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। এ অপক্ষো কখনও কখনও দীর্ঘ হয়ে ৩০ মিনিট পেরিয়ে যাচ্ছে।
শুধু সিটিং সার্ভিস নয়, অন্য সময় যাত্রীর জন্য হাঁক-ডাক দেওয়া লোকাল সার্ভিসগুলোও তেমন একটা চোখে পড়েনি রাজধানীর সড়কে। রিজার্ভ যাত্রী নিয়ে এগুলোও এখন রাজধানীর বাইরে।
গাড়ির এ সংকটে ঈদের আগে ও পরে চলাচলের বিষয়ে রাজধানীবাসীর মধ্যে এরকম শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাদের মনে প্রশ্ন, ঈদের আগেই এ অবস্থা, ঈদের দিন তাহলে কী হবে?
অবশ্য নতুন বাজার রুটে চলাচলকারী একটি পরিবহনের কন্ট্রাকটর জানান, ঈদের দিন আমাদের গাড়ি চলবে না। যেগুলো ঢাকার বাইরে গেছে সেগুলো ফেরার উপর নির্ভর করছে কত সংখ্যক গাড়ি ঈদের পর চলবে।
তবে মালিকের ইচ্ছের ওপর নির্ভর করবে ঈদের দিন গাড়ি চলবে কি-না, উত্তর অপর এক পরিবহনের কন্ট্রাকটরের।
Discussion about this post