রাজধানীতে গণপরিবহনে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সিটিং সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে সিটিং সার্ভিস, গেট লক, বিরতিহীন বা স্পেশাল সার্ভিস নামে কোনো গণপরিবহন থাকছে না। এছাড়া বিআরটিএ নির্ধারিত চার্ট অনুসরণ করে ভাড়া আদায় করবে সব বাস। সেই সঙ্গে গাড়ির ছাদে থাকা ক্যারিয়ার, সাইড অ্যাঙ্গেল, অতিরিক্ত সিটও এ সময়ের মধ্যে খুলে ফেলতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
এর আগে গতকাল রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইইবি) মালিক সমিতির এক বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাক মহানগরগীর বিভিন্ন গণপরিবহন কোম্পানি এবং রুট মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
বৈঠক সূত্র জানায়, নতুন মোটরযান খসড়া আইনের বিধি অমান্য করার জন্য জরিমানার ব্যাপারটি নিয়ে ও বৈঠকে আলোচনা করা হয়। এ আইনের আপত্তি বিষয়গুলো নিয়ে প্রয়োজনে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করবেন।
সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্যাহ বলেন, গণপরিবহনে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সংগঠনের সাধারণ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিটিং সার্ভিসের নামে যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এটা চলতে পারে না। তাই আগামী ১৫ এপ্রিলের পর যাত্রীদের কাছ থেকে কোনোভাবেই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না। ভাড়া সরকার নির্ধারিত চার্ট অনুয়ায়ী আদায় করতে হবে। তাছাড়া ভাড়ার চার্ট প্রতিটি গাড়ির ভেতরে দৃশ্যমান স্থানে টানিয়ে রাখতে হবে। গাড়িতে থাকা ছাদের ওপর ক্যারিয়ার, সাইড অ্যাংগেল এবং অতিরিক্ত সিট ১৫ এপ্রিলের মধ্যে খুলে ফেলতে হবে। রঙচটা, রঙবিহীন, জরাজীর্ণ গাড়িগুলো মেরামত ও দৃষ্টিনন্দন করে রাস্তায় চালাতে হবে। রুটের প্রতিটি বাস এবং মিনিবাসে মহিলা এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য আসন সংরক্ষতি রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত কার্যকর করার লক্ষ্যে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএ এবং ডিএমপিকে চিঠি দেয়া হবে। পরিবহন খাতে প্রচুর চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পরিবহন মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, কোম্পানির নামে বাস চলাচল শুরুর পর থেকেই চাঁদাবাজি বেড়েছে। একজন মালিকের গাড়ি থাক বা না থাক ওই মালিকের অধীনে চাঁদা দিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। এনায়েত উল্যাহ আরো বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশকে ( ডিএমপি) প্রতিদিন ১০৭টা বাস রিকুইজিশনে দিতে হয়। এ জন্য পুলিশ বাস মালিককে দেয় ৩০০ টাকা। এ টাকায় শ্রমিকের বেতন দেওয়া যায় না। মালিকের কিছুই থাকে না।
Discussion about this post