নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেননি, পাশাপাশি তিনি সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। যারা মাদক বিক্রি করে অন্যায়ভাবে টাকা উপার্জন করে তারা সেটি অন্যায়ভাবেই ব্যয় করে। অনেকে নির্বাচন করে জনপ্রতিনিধি সেজে নিজেকে জাহির করতে চান। তবে আমরা কাউকেই ছাড় দিচ্ছি না। সমাজের অধিপতি হোক, রাজনীতিবিদ হোক কিংবা নির্বাচনের জনপ্রতিনিধি হোক, অন্যায় করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নারকোটিক্স ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এনআইএমএস) ওয়েবসাইট ও মাদকবিরোধী বিজ্ঞাপন উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মাদকবিরোধী অভিযানের গতি কমে গেছে কিনা জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, অভিযান মোটেও স্তিমিত হয়নি। যারা মাদকব্যবসা করে, মাদকব্যবসায়ে বিনিয়োগ করে, বড় বড় মাদক সম্রাটদের সবাইকেই ধরা হয়েছে। যারা পলাতক রয়েছে তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দেশে মাদকের চাহিদা কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চাহিদা হ্রাস পেলে মাদকের সাপ্লাই হ্রাস পাবে। এরই অংশ হিসেবে আজকের এ অনুষ্ঠান। ধূমপানের বিরুদ্ধে আমরা রাস্তায় নেমে প্রচারণা চালিয়েছিলাম। আমাদের প্রচেষ্টার কারণে আজ ধূমপান অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আজ কেউ প্রকাশ্যে ধূমপান করে না, করলে আড়ালে গিয়ে করে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক তৈরি হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, একটা ছোট জায়গায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করে। তাদের ম্যানেজ করা অনেক কঠিন। তারপরও আমরা বন্ধু দেশের সহায়তায় কাজটি করে যাচ্ছি। আমার জানা মতে, সেখানে মাদক তৈরি হয় না। তবে তাদের কেউ কেউ এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। আমরা সবাইকে নজরদারিতে রেখেছি। যারা মাদকব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে মাদক তৈরি হয় না। পার্শ্ববর্তী দেশের মাধ্যমে আমরা ভিকটিম। সীমান্তে অনেক দুর্গম জায়গা আছে। সেসব স্থানে নজরদারির জন্য আমরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) হেলিকপ্টার দিয়েছি, বর্ডারে সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে সেসব জায়গায় টহল বাড়ানোর জন্য। পাশাপাশি কোস্টগার্ডকেও শক্তিশালী করা হয়েছে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা সজাগ রয়েছি।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও কোরিয়ার সহযোগিতায় তৈরি নার্কোটিকস ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্বোধন করেন।
এ ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে অধিদফতরের কর্মকর্তারা যে কোনো জায়গা থেকে ল্যাপটপে বসে মামলার ফলোআপ, লাইসেন্স ম্যানেজমেন্ট, স্যাম্পল এনালাইসিস ম্যানেজমেন্ট, অপারেশন ও হসপিটাল ম্যানেজমেন্টের কাজ করতে পারবেন। অধিদফতরের সেবা পেতে আগ্রহীরা দেশের যে কোনো প্রান্তে বসে আবেদন করে যে কোনো সেবা পেতে পারবেন।
Discussion about this post