রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ৫ থেকে ১০ বছর ধরে বিনা বিচারে বন্দি রয়েছেন, এক বিদেশিসহ ১৭ জন। এদের মধ্যে ৯-১০ বছর ধরে আটকের সংখ্যা ৫।
জেল কর্তৃপক্ষ বলছেন, মামলার সাক্ষী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আন্তরিক না হলে এ সংকটে সমাধান সম্ভব নয়। যদিও, কারা মহাপরিদর্শকের দাবি, সমাধানে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছেন তারা।
ফয়েন উদ্দিন, মতিউর, ডাবলু, শরিফ উদ্দিন, বাবলু তারা সবাই বিভিন্ন মামলায় ৯ বছর থেকে সাড়ে ১০ বছর রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বিনা বিচারে বন্দি। তৌহিদুল ইসলাম নামে এক ভারতীয় নাগরিকও এই কারাগারে রয়েছেন, ২০০৮-এর ফেব্রুয়ারি থেকে।
রেহেনা নামে এক নারী বিচারের অপেক্ষায় আছেন ৬ বছর ধরে। বিনা বিচারে এরকম ১৭ জন বন্দি রয়েছে রাজশাহী কারাগারে। যারা শতাধিকবার আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। কিন্তু সাক্ষী না থাকাসহ নানা কারণে শেষ হচ্ছে না বিচারকাজ।
আইনজীবীরা বলছেন, এর দায় এড়াতে পারেন না সংশ্লিষ্ট কেউই। জেল কর্তৃপক্ষ, মামলার সাক্ষী এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আন্তরিক না হলে, এই সংকটে সমাধান হবে না।
কারা মহাপরিদর্শক বলছেন, সাক্ষীর অভাব এবং বিচারক সংকটের কারণে, সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। তবে মামলাগুলো দ্রুত শেষ করার ব্যাপারে তারা আন্তরিক বলে দাবি করেন তিনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভুক্তভোগীদের শুধু জামিন বা বিচার শেষ করলেই হবে না, বরং যাদের কারণে বিচার বিলম্বিত হচ্ছে, তাদের কাছ থেকেও ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে।
সম্প্রতি বিনা বিচারে কারাবন্দিদের নিয়ে একাধিক রিপোর্ট করে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। এরপর কারাগারগুলোয় এরকম বন্দির সংখ্যা জানতে চেয়ে, চিঠি পাঠায় সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল এইড কার্যালয়। সূত্র: চ্যানেল টোয়েন্টিফোর
Discussion about this post