নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানোর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীবের হোসেনের দুই ভাইকে এক মাসের মধ্যে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে স্বজন পরিবহনকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালত স্বজন পরিবহনের আইনজীবীকে বলেন, আগে এক মাসের মধ্যে ১০ লাখ টাকা রাজিবের দুই ভাইকে দিয়ে আসেন। তারপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপনাদের করা লিভ টু আপিলের শুনানি করা হবে।
এরপর আদালত হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে স্বজন পরিবহনের করা লিভ টু আপিল শুনানি করার জন্য আগামী ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
আদালতে স্বজন পরিবহনের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বাবুল। রাজীবের পরিবারের পক্ষে ছিলেন- ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসি এবং স্বজন পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারান কলেজছাত্র রাজীব। দুই বাসের চাপায় রাজীকের ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পরই তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ৪ এপ্রিল চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
তবে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজীবের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। ১৩ দিন চিকিৎসার পর ১৬ এপ্রিল মধ্যরাতে মারা যান রাজীব। পরে রাজীবের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের রাজীব ৩য় শ্রেণিতে পড়ার সময় মা ও ৮ম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারান। ঢাকার মতিঝিলে খালার বাসায় থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন স্নাতকে।
Discussion about this post