সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে প্রথম দিন আদালতে কোনো সাক্ষী হাজির হয়নি। ফলে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৬ অক্টোবর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফসানা আবেদীন।
আজ মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) মামলার প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। আদালতে কোনো সাক্ষী হাজির করতে না পারায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার কবির বাবুল।
মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। ভবনের নিচে চাপা পড়েন সাড়ে পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত ও পঙ্গু হন প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। ধংসস্তূপের নিচ থেকে ২ হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় ইমারত নির্মাণ আইন না মেনে ভবন নির্মাণ করায় রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন ওই দিন সাভার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ভবন মালিক সোহেল রানা (কারাগারে), রানার মা মর্জিনা বেগম, রানার বাবা আবদুল খালেক, সাভার পৌরসভার তৎকালীন মেয়র রেফাত উল্লাহ, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী খান, সাভার পৌরসভার সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান (পলাতক), সাভার পৌরসভার সাবেক নিবার্হী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম (কারাগারে), সাভার পৌরসভার সাবেক প্রধান নিবার্হী প্রকৌশলী উত্তম কুমার রায়, সাভার পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ ফারজানা ইসলাম (পলাতক), মাহবুবু আলম (পলাতক), ঠিকাদার নান্টু (পলাতক), রেজাউল ইসলাম (পলাতক), সাভার পৌরসভার সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী রকিবুল হাসান, সারোয়ার কামাল, বজলুস সামাদ আদনান, মাহমুদুর রহমান, আমিনুল ইসলাম ও আনিসুর রহমান।
২০১৬ সালের ১৪ জুন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
Discussion about this post