বিডি ল নিউজঃ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আর কেউ যদি কোন অপরাধীকে ক্ষমা করতে পারেন, তবে তিনি হলেন বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি। তিনি যে কোন অপরাধীকে তার সাজা থেকে মুক্তি দিতে পারেন। চলমান যুদ্ধাপরাধীদেরকেও চাইলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করতে পারেন। তবে, তিনি যেন তা না করেন তার জন্য ওনাকে অনুরোধ জানালেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। হ্যাঁ, আজ শুক্রবার রাজধানীর রেডিসন হোটেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসন শীর্ষক আলোচনা সভায় আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যালের আইনজীবী ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেছেন, ‘মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির রয়েছে। তবে সেই ক্ষমতা যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষেত্রে প্রদর্শন না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
সভায় সুচনা বক্তব্য রাখেন সুচিন্তার আহ্বায়ক মোহাম্মদ এ আরাফাত। সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, কাজী খলীকুজ্জামান, চিত্রশিল্পী হাসেম খান প্রমুখ।
তুরিন আফরোজ বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের ভাব-আদর্শ যারা ধারণ করে তাদেরও বিচার হওয়া উচিত। আজ যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য অনেকেই অনেক কথা বলছেন। কিন্তু আমরা বলতে চাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবশ্যই সম্পন্ন হবে।’
তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন হচ্ছে না। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে আন্তর্জাতিক মান কিভাবে নির্ধারিত হবে? নুরেমবার্গ ট্রায়েলসহ সকল যুদ্ধাপরাধের বিচার নিজ দেশের আইনে হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের বিচারও নিজ দেশের আইনে সম্পন্ন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড বাতিলের আহ্বান জানাচ্ছে। কিন্তু আমেরিকা, চীনসহ বিশ্বের জনবহুল দেশসমূহে এখনও মৃত্যুদণ্ড চালু রয়েছে।’ এ সময় সামাজিক ন্যায় বিচার না হলে উন্নয়নের সুফল পাওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
Discussion about this post