প্রবীণ এ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে তার পরিবার। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাজী জাফরের একান্ত সহকারী গোলাম মোস্তফা।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় গোলাম মোস্তফা বলেন, এখনও এ বিষয়ে (রাষ্ট্রীয় সম্মানের) কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তার পরিবার চায় দাফন ঢাকাতেই হোক। এতে নেতাকর্মীরা সহজে জিয়ারত করতে পারবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সম্মান না পাওয়া গেলে মরদেহ কুমিল্লাতেই দাফন করা হবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন যখন মরদেহ দেখতে কাজী জাফরের বাসায় আসেন তখন তাকেও এ বিষয়ে অবগত করা হয়। জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব মোস্তফা জামান হায়দার এ বিষয়টি তুলে ধরেন। এ সময় আশ্বাস দেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় সম্মানের বিষয়ে তিনি প্রচেষ্টা চালাবেন।
এদিকে কাজী জাফরের ছোট মেয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে রাতে ঢাকায় ফিরবেন। এর আগে বড় মেয়ের জামাই সৈয়দ আলমাস কবির জানান, বাদ আসর চতুর্থ জানাজা শেষ হয়েছে। এখন তার মরদেহ গুলশানের নিজ বাসভবনে রাখা হবে। রাতে সেখানেই থাকবে। এরপর শনিবার (২৯ আগস্ট) ভোরে তার জন্মস্থান কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চিওড়া কাজী বাড়ির উদ্দেশে মরদেহবাহী গাড়ি রওয়ানা দেবে। দাফন হবে বাদ জোহর। কুমিল্লায় তার আরও চারটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রীয় সম্মানের বিষয়ে তার পরিবারের বক্তব্য, কাজী জাফর একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তারা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
কাজী জাফরের চতুর্থ নামাজে জানাজা শুক্রবার বিকেলে গুলশান আজাদ মসজিদে সম্পন্ন হয়েছে। তার আগে শুক্রবার বাদ জুমা কাজী জাফরের তৃতীয় নামাজে জানাজা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সম্পন্ন হয়। তারও আগে সকাল সোয়া ৮টায় টঙ্গীর মিল গেটের ইস্তেমা ময়দান সংলগ্ন মসজিদে প্রথম জানাজা ও সকাল ১১টা ০৫ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়।
Discussion about this post