রগুনা প্রতিনিধি: বরগুনার বহুল আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় শিশু আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির। আজ সোমবার (২৪ আগস্ট) শুরু সাক্ষ্য গ্রহন করা হবে। আগামীকাল মঙ্গলবারও তদন্তকারী কর্মকর্তার জবানবন্দি নেওয়া হবে। এর পর বুধবার আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করবেন। অপর দিকে প্রাপ্ত বয়স্ক ১০ আসামির জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আগামী বুধবার যুক্তিতর্ক শুরু হবে।
এর আগে করোনার কারণে পাঁচ মাস পর রবিবার সকাল ১০ টায় বরগুনা কারাগারে থাকা শিশু ওয়ার্ড থেকে ছয়জন কিশোরকে বরগুনা শিশু আদালতের বিচারক ও জেলা জজ মো. হাফিজুর রহমানের আদালতে পুলিশ পাহারায় হাজির করা হয়। হাজতি কিশোর আসামিরা হল, রাশেদুল হাসান রিশান ফরাজি, ওয়ালিউল্লাহ অলি, তানভির হোসেন, রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, আবদুল্লাহ রায়হান ও নাঈম। জামিনে থাকা আট কিশোর আসামিও আদালতে উপস্থিত ছিল। সকাল সাড়ে ১০ টায় কিশোরদের জন্য বিশেষ কামড়ায় আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির আদালতে অনুমতি নিয়ে রিফাত হত্যার ভাইরাল হওয়া ভিডিও বড় পর্দায় বিচারক ও আসামিদের দেখানো শুরু করেন। আদালতের কার্যক্রম বেলা ১২ টায় মুলতবী হয়। সোমবার আবার সকাল সাড়ে ১০ টায় তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য শুরু হবে।
রাষ্ট্র পক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইতি পূর্বে ৭৫ জনের সাক্ষ্য দেয়া শেষ হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য শেষ হলে আসামী পক্ষ তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেরা শুরু করবেন। জেরা শেষ হলে যুক্তিতর্ক শুরু হবে। আদালত নিয়মিত চললে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এই মামলার রায় হবার সম্ভাবনা রয়েছে। রাষ্ট্র পক্ষ আশাবাদি এই নির্মম হত্যা কান্ডে আসামিদের সর্বচ্চো সাজা হবে। আসামি জয় চন্দ্র সরকার চন্দনের আইনজীবী মাহবুবুল বারী বলেন, তদন্তকারী কর্মমকর্তা তার জবানবন্দি শেষ করতে আরও ৩/৪ দিন সময় লাগতে পারে। এরপর ১৪ জন আসামীর পক্ষে একাধিক আইনজীবী তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেরা করবেন। আমার আসামি নির্দোষ। তাকে অযথা হয়রানি করার জন্য এই মামলায় জড়িত করেছে। তাছাড়া আসামি বাক প্রতিবন্ধী। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে তাকে জামিন দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে যখম করে নয়ন বন্ডের গড়া কিশোর গ্যাঙ বন্ড গ্রুপ। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া দেশব্যাপী আলোড়ণ সৃষ্টি হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ১ সেপ্টেম্বর দুই খন্ডে অভিযোগ পত্র বয়স্ক ১০ জন ও কিশোর খন্ডে ১৪ জন দাখিল করেন।
Discussion about this post