য়া যেতে পারে। শুধু তাই নয় স্পষ্টভাবে বলা আছে – কি কারণে রিমান্ড প্রয়োজন তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা ম্যাজিস্ট্রেট বা হাকিমের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদের দৃষ্টিকোণ থেকে রিমান্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ আসামীর স্বার্থ সাক্ষ্য আইনে মূল্যহীন। আর নির্যাতনের মাধ্যমে যদি কোনো তথ্য পাওয়া যায় সেটি এভিডেন্স হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। রিমান্ডের ওপর ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব হাকিম বা বিচারকদের বিশেষভাবে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। বাছ বিচার করে , সুস্পষ্টভাবে কেস স্টাডি করে , কি কারণে রিমান্ড চাচ্ছে তা বিশ্লেষণ করে রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করা উচিত। অতি সাধারণ কারণে এবং মামুলী মামলার ক্ষেত্রেও রিমান্ড চাওয়া উচিত নয়। এধরনের রিমান্ডকে উচ্চতর আদালতে অবশ্যই ডিসক্যারেজ করা উচিত। যে কোনো কেসে রিমান্ড চাওয়াটা যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়। রিমান্ড বা রিমান্ডের নামে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা সংবিধানে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ । তাছাড়া জুডিশিয়াল কাস্টডিতে আসামী যে সাক্ষ্য দেয় তার কোন দাম নেই। ক্রিমিনাল জুরিসপ্রুডেন্সের ক্ষেত্রে এ ধরনের সাক্ষ্য মূল্যহীন এবং আইনের পরিপন্থী। রিমান্ড কাদের ক্ষেত্রে নেয়া যেতে পারে সে বিষয়ে আমাদের আইনের যে নির্দেশনা তা হচ্ছে – গ্যাং ডাকাতি, ডাকাতি, গুরুতর অপরাধ বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এসব ক্ষেত্রে রিমান্ড দেয়া যেতে পারে এবং আগেকার দিনে এসব ক্ষেত্রেই রিমান্ড চাওয়া হতো। রিমান্ডে নির্যাতনের মাধ্যমে যদি কারো স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় সেই স্বীকারোক্তির কোনো এভিডেনশিয়াল ভ্যালু নেই। আইনের দিক থেকে এটি মূল্যহীন। এটি অনেক কারণে করা হয়ে থাকে। অনেকে অবৈধভাবে পয়সা অর্জনের করে থাকে, অথবা কারো প্রতি প্রভাবিত হয়েও অনেক ক্ষেত্রে এটি করা হয়ে থাকে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে না বুঝে করে। এ বিষয়ে আইন ও সংবিধানের ওপর প্রোপার ট্রেনিং না থাকার কারণে অবৈধ এ বিষয়টির যথেচ্ছ ব্যবহার হয়।
আইন শিক্ষা (Law Education)
Discussion about this post