নিজস্ব প্রতিবেদক: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বহুল আলোচিত বালিশকাণ্ডসহ নানা দুর্নীতির অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে সাত প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জিজ্ঞাসাবাদকৃতরা হলেন- গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম, পাবনা গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. তারেক, তাহাজ্জুদ হোসেন, মো. মোস্তফা কামাল, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. কামারুজ্জামান, মো. আবু সাঈদ ও মো. ফজলে হক।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, মূলত প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে দুদক। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ৩৪ জন প্রকৌশলীকে দুদকে তলব করা হয়েছে। আজ থেকে আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত আলাদা আলাদা দিনে এই প্রকৌশলীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে দুদকে।
রবিবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর ও উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. হাসিনুর রহমানসহ মোট ৩৩ জন প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে নোটিশ পাঠায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশকাণ্ডসহ দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগের বিষয় গত ১৭ অক্টোবর দুদক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। অনুসন্ধান দলের অপর দুই সদস্য হলেন- দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুর রহমান ও উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ।
Discussion about this post