নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) ছোট গ্রুপ লিডার রেজাউর রহমানসহ দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনের মামলা হয়েছে। র্যাব-১১ এর পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এদিকে সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রুপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘র্যাবের দায়েরকৃত সন্ত্রাস দমন আইনের মামলার তিন আসামিকে রবিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামি রেজাউর রহমান, রিয়াজুল ইসলাম ও শামসুদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রূপগঞ্জ থানা পুলিশ সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী বিশ্বাস জানান, রেজাউর রহমানসহ তার দুই সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আশেক ইমাম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন বলেন, ‘গ্রেফতার তিন জঙ্গি সদস্যের মধ্যে রেজাউর রহমানকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ওই দুটি মামলায় রেজাউরকে আলাদা আলাদাভাবে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য রেখেছে। ওই মামলার আসামিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ’
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন জানান, সন্ত্রাস দমন আইনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা হলেও মামলাটি তদন্ত করবে র্যাব -১১।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের জিন্দা পার্ক এলাকা থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নেতা রেজাউর রহমান ও দুই সহযোগী রিয়াজুল ইসলাম মাসুদ এবং শাসসুদ মিয়াকে আটক করে র্যাব-১১। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলিসহ একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টানা অভিযানের কারণে সংগঠনটির নির্দেশে ২০১৭ সালের মে মাসে কলকাতায় পালিয়ে যায় রেজাউর। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করা এবিটি সদস্যদের সঙ্গে আত্মগোপনে যায় সে। এ সময় তার সহযোগী হিসেবে ছিল রিয়াজুল ও শামসুদসহ বেশ কয়েকজন। কিন্তু ওই বছরের ২১ নভেম্বর কলকাতা রেলস্টেশনের কাছ থেকে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ) আটক করে রিয়াজুল ও শামসুদসহ তিন জনকে। এরপর বাংলাদেশে ফিরে এসে রেজাউর। দেশে আসার পর সে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নিজ বাড়িতে না গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে গোপনে সদস্য সংগ্রহের কাজ করছিল বলে জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তারা।
Discussion about this post