নিজস্ব প্রতিবেদক: এনডিএমএ ইমপিউরিটি গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি পাওয়ায় দেশে সকল প্রকার রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধের আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি ও রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেসার্স সারাকা ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, ভারত ও মেসার্স এসএমএস লাইফসাইন্স; ভারত থেকে আমদানি করা রেনিটিডিন হাইড্রোক্লারাইড কাঁচামাল (এপিআই) ও উক্ত কাঁচামাল দ্বারা উৎপাদিত ফিনিশড প্রোডাক্ট এর নমুনা অত্র অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় ডব্লিউএইচও অ্যাক্রিডিটেড ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা এবং বিশ্লেষণ করা হয়।
পরীক্ষার ফলাফলে পরীক্ষাকৃত কাঁচামাল এবং ফিনিশড প্রোডাক্টে এনডিএমএ ইমপিউরিটি গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে, জনস্বার্থে দেশে সকল প্রকার রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধের রেনিটিডিন আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রি ও রপ্তানি স্থগিত করা হলো।
এর আগে, ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান থাকার কারণে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ রেনিটিডিন আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এই সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। রেনিটিডিন ওষুধে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান আছে যুক্তরাজ্যে এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর ওষুধটি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এই বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কথা বিবেচনা করে ওষুধশিল্প সমিতির নেতাদের সাথে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। রেনিটিডিন ওষুধের কাঁচামাল আমদানির পাশাপাশি উৎপাদন ও বিক্রির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের ৩১টি ওষুধ কোম্পানি প্রতিবেশী দেশ ভারতের ফারাক্কা নামের একটি কোম্পানি থেকে রেনিটিডিন ট্যাবলেটের কাঁচামাল আমদানি করে থাকে। এছাড়া ডক্টর রেড্ডি নামের আরেকটি কোম্পানির কাঁচামাল আমদানি করার জন্য ব্ল্যাকলিস্টে তালিকাভুক্ত থাকলেও এখনো সেখান থেকে আমদানি করা হয়নি বলে জানান মহাপরিচালক।
মাহবুবুর রহমান বলেন, জনস্বার্থ বিবেচনায় এই দুইটি কোম্পানি থেকে রেনিটিডিনের কাঁচামাল আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ওই কোম্পানি থেকে আমদানিকৃত কাঁচামাল দিয়ে নতুন করে কোনো রেনিটিডিন ওষুধ উৎপাদন করা যাবে না। এছাড়া বাজার থেকে কোম্পানিগুলো নিজ উদ্যোগের মাধ্যমে রেনিটিডিন ট্যাবলেট প্রত্যাহার করে নেবে।
Discussion about this post