রোগীর প্রতি অবহেলা বা চিকিৎসায় ভুল হলে চিকিৎসক বা সেবাদানকারীদের কাউকেই প্রথমে গ্রেপ্তার করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ এ আইন লঙ্ঘন করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কোনো ব্যক্তি স্বাস্থ্যসেবাদানকারীর প্রতি সহিংস আচরণ করলে, প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালালে তা জামিন অযোগ্য অপরাধ হবে বলে গণ্য হবে। এসব বিধান রেখে ‘রোগী এবং স্বাস্থ্যসেবাদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা আইন, ২০১৬’ নামে নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মনে করেন, প্রস্তাবিত আইনটি পাস হলে রোগী এবং স্বাস্থ্যসেবাদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান দুই-ই সুরক্ষা পাবে। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, আইনটি দ্রুত পাস করানোর চেষ্টা চলছে। এটি হলে রোগীরা তাঁদের অভিযোগ দায়েরের সুযোগ পাবেন। আর চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনাও কমে আসবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে আস্থার সংকট বাড়ছে। গত জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রামে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলামের ভাইয়ের মেয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে মারা যান। এ ঘটনায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। প্রতিবাদে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখা বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে ধর্মঘট পালন করে। এতে আস্থার সংকটের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে।
Discussion about this post