শনিবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বেস্ট কমিউনিটি ক্লিনিক অ্যাওয়ার্ড-২০১৪’ এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে ই-লার্নিং কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি তো হুজুগে মাতে। মেডিকেল কলেজ শুরু হলো তো সব জায়গায় মেডিকেল কলেজ দরকার। আমি জিজ্ঞেস করি এত মেডিকেল কলেজ করলে শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে কোথায়? আর শিক্ষক পাওয়া যাবে কোথায়? সেটাতো সম্ভব নয়। এটাতো একটা বিশেষায়িত সাবজেক্ট।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ঢালাওভাবে মেডিকেল কলেজ করলে শেষে রোগী বাঁচানোর ডাক্তার হবে না, রোগী মারার ডাক্তার হবে। রোগী মারার ডাক্তার যেন না হয় সেদিকে দেখতে হবে। এই যে যত্রতত্র মেডিকেল কলেজ করা এটা যেন না হয়। মেডিকেল কলেজগুলো যেন মানসম্পন্ন হয় সেভাবে তৈরি করতে হবে। হুজুগে মাতলে চলবে না।’
‘কারণ আমি দেখলাম বাংলাদেশে এখন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজই নাই। যে কয়েকটা ছিলো সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। অথচ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেরও প্রয়োজন আছে। সবই বিশ্ববিদ্যালয় করে ফেলতে হবে কেন?’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
চিকিৎসা বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা এ সময় তুলে ধরেন তিনি।
আরও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আছে। আমরা আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয় করবার পদক্ষেপ নিয়েছি, রাজশাহী এবং চট্টগ্রামে। ভবিষ্যতে আমরা প্রতিটি ডিভিশনাল হেডকোয়ার্টারে আমরা একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিবো।’
স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের পরিচালক ডা. মাখদুমা নার্গিস প্রমুখ।
Discussion about this post