মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও দেশছাড়া করার প্রতিবাদে এ বছর ‘প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস’ ওড়াবে না বাংলাদেশের বৌদ্ধ সমাজ। বাংলাদেশে সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজের প্রধান সমন্বয়ক অশোক বড়ুয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৌদ্ধদের অন্যতম প্রধান এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি হবে আগামী ৫ অক্টোবর। তবে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার প্রতি সমবেদনা, সহমর্মিতা জানাতে প্রবারণা পূর্ণিমার দিন কোনো ধরনের জাঁকজমক করবে না তারা।
অশোক বড়ুয়া বলেন, প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস ওড়ানোকে কেন্দ্র করে বৌদ্ধদের মধ্যে এক ধরনের আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। কিন্তু এ বছর আমরা এই আনন্দ থেকে বিরত থাকতে চাই। কারণ, লক্ষ লক্ষ নিঃস্ব মানুষ (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। মিয়ানমারে মানুষের উপর যে অমানবিক নির্যাতন চলছে এই কান্নার মধ্যে কিভাবে উৎসব হয়? এ জন্য এ বছর আমাদের এই উৎসব আমরা কোন আড়ম্বরতা ছাড়াই পালন করব। আমরা আমাদের আনন্দকে রোহিঙ্গাদের জন্য উৎসর্গ করলাম।
তিনি বলন, আমরা দূতাবাসের মাধ্যমে মিয়ানমারের সরকারকে অনুরোধ করেছি যে, বুদ্ধ কখনো সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেননি। আমরা মনে করি তারা বুদ্ধের অনুসারী নয়।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশ ও বিদ্রোহী গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ বহু রোহিঙ্গা হতাহত হন। ওই ঘটনার পর মিয়ানমারের বিদ্রোহী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ‘শুদ্ধি অভিযান’ চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। অভিযানের ভয়ে এখন পর্যন্ত চার লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।
– বিবিসি।
Discussion about this post