ডেস্ক রিপোর্ট: মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের ঘটনা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারের আওতায় পড়বে কি না, তা জানতে চেয়েছেন আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ফাতোও বেনসোউদা।
এ বিষযে একটি রুল চেয়ে সোমবার হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আবেদন জানিয়েছেন বেনসোউদা। আবেদনে বলা হয়েছে, জোর করে কোনো দেশের বাসিন্দাদের আন্তর্জাতিক সীমানার বাইরে ঠেলে দেওয়া সব দিক থেকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মধ্যে পড়ে।
আবেদন বলা হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার একে জাতিগত নিধন অভিযানের উদাহরণ বলে বর্ণনা করেছেন এবং মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত একে গণহত্যার সব চিহ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আওতায় পড়লে কৌঁসুলির দপ্তর তদন্ত করে অভিযোগ আনতে পারবে।
আবেদনে আরো বলা হয়েছে, `কিন্তু এখানে আদালতের আওতা নিয়ে কিছুটা দ্বিধা রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ এই আদালতের সদস্য, কিন্তু মিয়ানমার সদস্য নয়। তারপরও আদালত এই বিষয়টিকে আওতাভুক্ত হিসাবে বিবেচনা করতে পারে, যেহেতু আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে অপরাধটি ঘটছে এবং আদালতের সদস্য বাংলাদেশের ভূখণ্ড তার শিকার হচ্ছে।`
গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরুর পর হত্যা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া, লুটপাট, অপহরণ আর ধর্ষণের শিকার হয়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম রাখাইন থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে থেকে আরো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ অবস্থান করছিল।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে সমঝোতা সই করেছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এ বিষয়ে মিয়ানমারের জোরালো সাড়া মিলছে না। সূত্র: রয়টার্স
Discussion about this post