চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানা এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) পৃথক অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হুজি-বির সন্দেহভাজন পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি, হাত গ্রেনেড ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের কথা জানানো হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন তাজুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন, আবু জার গিফারি, নূরে আলম ও ইফতিশাম আহমেদ।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আকবর শাহ থানার এ কে খান এলাকা থেকে প্রথমে তাজুল ও নাজিমকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তর কাট্টলী এলাকার মুকিম তালুকদারের বাড়িতে অভিযানে যায় র্যাব। সেখান থেকে আবু জার গিফারি, নূরে আলম ও ইফতিশামকে আটক করা হয়। বাড়িটি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র, হাত গ্রেনেড ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, মুকিম তালুকদারের দোতলা বাড়িটিতে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। প্রথমে বাড়িটি ঘিরে ফেলে র্যাব। এরপর অভিযান শুরু হয়। অভিযানের শুরুতে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে ঘরের ভেতরে থাকা জঙ্গিরা তাদের নথিপত্র, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে র্যাব।
নাঈম উদ্দিন নামের এক প্রতিবেশীর ভাষ্য, বাড়িটিতে যাঁরা থাকতেন, তাঁদের তিনি চিনতেন না।
নাম প্রকাশ না করে আরেক প্রতিবেশী বলেন, বাড়িটিতে থাকা লোকজন দিনের বেলায় আসতেন না। তাঁদের রাতে দেখা যেত।
নুরুল আলম নামের এক প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, আজ সকাল ছয়টার দিকে বাড়িটি ঘিরে ফেলে র্যাব।
অভিযান শেষ হলে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। তিনি বলেন, অভিযান চালিয়ে মোট পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে মুকিম তালুকদারের বাড়ি থেকে আটক করা হয়। সেখান থেকে দুটি পিস্তল, কিছু গুলি, কয়েকটি হাত গ্রেনেড, বোমা তৈরির উপকরণসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরা হুজি-বির গ্রেপ্তার হওয়া এক নেতার সহযোগী বলে জানিয়েছেন।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, আটক ব্যক্তিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও অস্ত্র লুট করার পরিকল্পনা করছিলেন। তাঁরা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনায় ছিলেন। কারাগারে থাকা শীর্ষ নেতাদের তাঁরা ছিনতাই করতে চেয়েছিলেন।
Discussion about this post