মৌলভীবাজার ডিস্টিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বিডি ল নিউজঃ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার অন্যতম বিদ্যাপীড লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের প্রতি বছর রেজাল্ট বাড়াতে ঝড়ে পড়ছে অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থী। শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছিলেন যে শিক্ষার্থী ৩৩ মার্কের মধ্যে ২৫ মার্ক করতে পারবে তাকে যেন পাস করিয়ে দেয়া হয়। অন্যদিকে এই কলেজের যে শিক্ষার্থী ২৫ মার্কতো দূরের কথা ৩৩ এর মধ্যে ৩২ মার্ক পেলেও তাকে টেষ্ট পরিক্ষায় উর্ত্তীর্ণ করা হয় না।
শিক্ষার্থীরা পরিক্ষায় খারাপ করার পর শিক্ষকদের কাছে গিয়ে গ্যারান্টি দিচ্ছে যে তারা ঐ পরিক্ষায় অবশ্যই পাস করতে পারবে। কিন্তু কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আতাউর রহমান ও কলেজ কর্তৃপক্ষ মিলে কোন ভাবে তাদেরকে পাস দিচ্ছেন না বরং নানান তদবিরে তারচেয়ে খারাপ শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই সবার প্রশ্ন এদেরকে যদি পাশ দেওয়া হয় তবে ঐসকল শিক্ষার্থীরা কী দোষ করল ?
কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলে শিক্ষকরা কলেজের পাশের হার বাড়ানোর জন্য প্রতি বছর প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীকে টেষ্ট পরিক্ষায় আটকিয়ে রাখেন। কিন্তু প্রতি বছর পাশের হার হয় ৬০% থেকে ৬৫%। আর এই টেষ্ট পরিক্ষায় উর্ত্তীর্ণ না হওয়া শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রয় অর্ধ-শতাধিক এখানেই ঝরে যাচ্ছে। আর এখানেই তাদের শিক্ষা জীবনের ইতি ঘটছে।
এ বছর সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের বই পরিবর্তন হওয়ার কারনে পুরনোদের পুরো একটি বছর গেছে কিন্তু একটি ক্লাস হয়নি।
২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা কলেজ ম্যানেজিং কমিটির এক অন্যতম সদস্যের কাছে গিয়ে আবেদন করলেও কোন সুরাহা হয়নি। এরপর শিক্ষার্থীরা আত্মহত্মার হুমকি দেয়। অন্যদিকে তিনি বলেন যার আত্মহত্মা করার ইচ্ছা আছে সে নিশ্চিন্তে করতে পার !!! এখন যদি এদের মধ্যে কেউ আত্মহত্মা করে এর দায়ভার কে নেবেন ??? কারন পরিক্ষায় খারাপ করে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্মার ঘটনা অহরহ ঘটছে।
Discussion about this post