লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির ভবন সম্প্রোসারিত করাকে কেন্দ্র করে জেলা ও দায়রা জজ আকতার হোসেনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা ও কোর্ট বর্জনের হুমকি দিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট জি এইচ এম আবদুর নুর।<br /> জেলা আইনজীবি সমিতি সূত্রে জানা যায়, আইনজীবি সমিতি ভবনের সামনে নতুন করে আরও একটি সম্প্রসারিত ভবন নির্মানের কাজ শুরু করেছিল আইনজীবি সমিতি। উক্ত সম্পত্তি নিজেদের দাবি করে তারাই কাজ শুরু করে। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আকতার হোসেন ও গনপূত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী উক্ত কাজে বাধা দেয়। এছাড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আকতার হোসেন ঘুষের বিনিময়ে আসামী জামিনসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূনীর্তি করে আসছে বলে দাবি করে আইনজীবি সমিতি। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার সকালে জেলা আইনজীবি সমিতির কার্যালয়ের হলরুমে সমিতির সভাপতি জি এইচ এম আবদুর নুরের সভাপতিত্বে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সমিতির ২শত ২৫জন আইনজীবি উপস্থিত ছিলেন। পরে সর্ব সম্মতিক্রমে আইনজীবিরা ১ জানুয়ারী থেকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কোর্ট বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয়।<br /> এছাড়া ওই আদালতের বিচারককে ও অবাঞ্চিত ঘোষনা করেন তারা। এ দিকে ৭ ডিসেম্বর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাঃ মহিদুজ্জামান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর জজশীপের নামে বরাদ্ধকৃত জায়গায় আইনজীবি সমিতি অবৈধভাবে দখল করে ভবন নির্মানের কাজ শুরু করেছে বলে একটি পত্র প্রেরন করেন।<br /> এ বিষয়ে আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট জি এইচ এম আবদুর নুর বলেন, সমিতির সম্পসারিত ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। হঠাৎ করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকতার হোসেন উক্ত কাজ বন্ধ করে দেয়। এছাড়া ঘুষের মাধ্যমে আসামী জামিনসহ বিভিন্ন অনিয়ম দূনীর্তি করে আসছে উক্ত বিচারক।<br /> অপরদিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, এসব ঘটনার সাথে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জড়িত নয়, বরং নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন করার জন্য একটি চক্র ঘটনাকে ভিন্নখাতে ব্যবহার করছে। স্যার অবকাশ কালীন ছুটিতে রয়েছে। বর্তমানে স্যার অসুস্থ্য রয়েছেন।</p>
Discussion about this post