বিএনপি নেতাদের মধ্যে বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির বর্তমান মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি হেলেন জেরিন খান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
এর আগে রাত ৮ টা ৫ মিনিটে গুলশান ২ নং সেক্টরের ৭৯ নং রোডের ১ নম্বর বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হন বিএনপি চেয়ারপারসন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে লন্ডন যাচ্ছেন তার একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপির সমর্থনে মেয়র প্রার্থী হওয়া তাবিথ আউয়াল। গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগমও খালেদা জিযার সঙ্গে লন্ডন যাচ্ছেন।
ব্যক্তিগত এ সফরে খালেদা জিয়া চোখের চিকিৎসা করাবেন। লন্ডনের একটি হাসপাতালে পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান আগে থেকেই অ্যাপয়েনমেন্ট নিয়ে রেখেছেন।
দীর্ঘ ৪ বছর পর বড় ছেলে তারেক রহমান, ছেলের বউ জোবায়দা রহমান, নাতনী জাইমা রহমানের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাবেন খালেদা জিয়া। সর্বশেষ ২০১১ সালে লন্ডন সফরের সময় তাদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল।
প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি, দুই কন্যা জাফিয়া ও জাহিয়া রহমানের সঙ্গেও লন্ডনে দেখা হচ্ছে খালেদা জিয়ার।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এরইমধ্যে মালয়েশিয়া থেকে দুই মেয়ে নিয়ে লন্ডন পৌঁছেছেন শর্মিলা।
খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর নিয়ে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নানা গুঞ্জন চলছিল। ১৫ আগস্টের আগেই লন্ডন যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও নানা জটিলতার কারণে যেতে পারেননি তিনি।
রোববার রাতে গুলশান কার্যালয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে দিয়ে লন্ডন যাত্রার দিন-ক্ষণ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫/২০ দিনের এ সফরে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দল পুনর্গঠন, পরবর্তী আন্দোলন, আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন খালেদা জিয়া।
এছাড়া ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করবেন তিনি। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলীর সঙ্গেও বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার।
এদিকে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন————
Discussion about this post