নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার পক্ষ থেকে লবলং সাগরের দূষণ সৃষ্টি হওয়ার উৎপত্তিস্থল পরিদর্শন করা হয় আজ শুক্রবার । 14 ই মার্চ বিশ্ব নদী কৃত্য দিবস ও 22 মার্চ পানি দিবসকে উপলক্ষ করে এই দূষিত ও হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ার খালটি পরিদর্শন করে ।
খাল পরিদর্শনের নির্ধারিত জায়গাটি হচ্ছে মাওনা ইউনিয়ন ও গাজীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম চকপাড়া ও আজুগীচালা গ্রাম ঘেঁষে অবস্থিত । জায়গাটিতে গিয়ে দেখা যায় চকপাড়া নয়নপুর সংযোগ সড়কের ব্রিজের নীচে অবস্থিত ময়লা পানিতে কুকুর মরে পচে আছে, পড়ে আছে বস্তা জাতীয় ময়লা ও তীব্র দূষিক ফ্যাক্টরীর বর্জ্য পানি । এই পানিগুলোই পরবর্তিতে পুরো খাল গড়িয়ে পড়ছে গিয়ে তুরাগ নদীতে । বিষাক্ততার উৎপত্তিস্থলে কেমিক্যাল, ডাইং সহ কয়েকটি ফ্যাক্টরীর নালা মুখ থাকলেও পুরো খাল জুড়ে ফ্যাক্টরীর সংখ্যা অনেক । হতাশার কথা হল এই পানির সাথেই মিশে যাচ্ছে সেচের পানি এবং পানিই ঢুকে যাচ্ছে ধান খেতেও । তীব্র দূষন সৃষ্টিকারী কলকাখানর বর্জ্য ধানের সাথে মিশে সহজেই প্রবেশ করছে মানব শরীরেও ।
নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার এই খাল পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার উপদেষ্ট মন্ডলীয় সদস্য পিয়ার আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান জনাব আহাম্মাদুল কবীর স্যার, নদী পরিব্রাজক দল কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষনা সম্পাদক জনাব মোঃ মোতাহার হোসেন খান ও নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার সদস্যগণ সহ সংবাদকর্মী ও সাধারণ মানুষ । খাল পরিদর্শন কালে পিয়ার আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান জনাব আহাম্মাদুল কবীর বলেন আইনের স্পষ্ট উল্লেখ হল ভূমির বা জমির আকৃতির পরিবর্তন না এনে ভূমি ব্যবহার করার কথা । যদি এই আইনটি সঠিকভাবে মানা যায় তবে দূষণ যেমনি কমবে তেমনি বাঁচবে কৃষি জমিও ।
কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষনা সম্পাদক মোতাহার হোসেন খান বলেন খালের দখল কমাতে হলে শিল্প উদ্যোক্তাদেরও সহযোগীতা প্রয়োজন এবং সাথে প্রয়োজন আনের সঠিক প্রয়োগ ।
উৎপত্তি স্থল সম্পূর্ণ পরিদর্শন শেষে চকপাড়া নয়নপুর সংযোগ সড়কের খালের উপরে স্থাপিত ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে অভিমত ব্যক্ত করে নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর শাখার সভাপতি রসায়নবিদ ও কলামিস্ট জনাব সাঈদ চৌধুরী । তিনি বলেন শিল্প ও নদী বা জলাশয় দুটোই একইসাথে বহমান রাখতে কাজ করতে হবে আমাদের । যদি শিল্প মালিকগণ উদ্যোগী হয়ে ইটিপি সঠিকভাবে পরিচালনা করেন তবে দূষণ কমে যাবে অনেক এবং তার সাথে সরকারকে করতে হবে প্রতিটি শিল্পাঞ্চলে সেন্ট্রাল একটি করে ইটিপি স্থাপন । এছাড়াও ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের নীতিমালাও খুব গুরুত্বপূর্ণ পানি দূষণ রোধের জন্য ।
Discussion about this post