মহাত্মা বাউল সম্রাট লালন শাহের গানে প্রভাবিত হয়ে নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানা পুলিশের কাছে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন এক হত্যা মামলার আসামি। তাঁর নাম মো. রনি মুন্না (৩২)। তিনি পূর্বধলা উপজেলার নাটেরকোনা গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে দুর্গাপুর থানায় এসে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। রনি পুলিশ ও সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেফতারের ভয়ে এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে মাস তিনেক আগে কুষ্টিয়া জেলায় ফকির লালন শাহের মাজারে যাই। সেখানে লালনের বাণী ও দেহতত্ব গানে আত্মশুদ্ধি করে পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছি।
স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও আত্মসমর্পণকারী ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরের ১ এপ্রিল দুপুরে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরশহরের উত্রাইল বাজারে বিচিত্রা গেস্ট হা্উজ থেকে এক বালু ব্যবসায়ীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ওই ব্যক্তির নাম নুর আলম ওরফে নুরুল আমীন (৩০)। তিনি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মাইজপাড়া গ্রামের আবু ছিদ্দিকের ছেলে। নুরুল আমীন দুর্গাপুরে থেকে বালুর ব্যবসা করতেন।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই দিন হোটেল সহকারী সুজন দাস ও হোটেলের সামনে পানের দোকানদার মন্তোষ দেবনাথ নামে দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে তাঁদের ছেড়ে দেয়া হয়। খুনের পর দিন নিহতের ভাই মো. সেলিম উল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে দুর্গাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
হত্যায় জড়িত সন্দেহের অভিযোগে পুলিশ পূর্বধলা উপজেলার নাটেরকোনা গ্রামের রনি মুন্নাকে না পেয়ে তাঁর বাবা নজরুল ইসলামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি তাঁর ছেলে এই হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেন। এ দিকে অভিযুক্ত রনি মুন্না ঘটনার সাতমাস পর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে দুর্গাপুর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন।
দুর্গাপুর থানার ওসি খান মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, রনি মুন্না এই খুনের দায় স্বীকার করেছেন। তাঁকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
Discussion about this post