বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, ‘লিগ্যাল এইড মানে শুধু আইনি সহায়তা নয়, এটা একটি অধিকার। তাই প্রতিটি মানুষকে আইনি সহায়তা দিতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
সুপ্রিম কোর্টের সভা কক্ষে আজ বুধবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৭ উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি আয়োজিত ‘সুপ্রিম কোর্টে আইনত সহায়তা কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন তিনি।
কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘২০০০ সালে লিগ্যাল এইড আইন হওয়ার পর এটি তেমনভাবে বাস্তবায়ন হতে দেখিনি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের সঙ্গে কাজ করার সময় অনেক জায়গায় গিয়েছি। এখন আইনি সহায়তার বিষয়টি অনেক স্পষ্ট হয়েছে। আমাদের ম্যান্ডেট আছে, যারা বিনাবিচারে দীর্ঘদিন বন্দি তাদের নিয়ে কাজ করার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কিশোর সংশোধনালয়ের শিশুদের সঙ্গে অভিভাবকদের যোগাযোগ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরকম আরও কিছু কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমান সরকার সবসময় সামাজিক নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে।’
সভায় সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড একটি আইন দ্বারা গঠিত। এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবু আইনি সহায়তা দেওয়ার স্বার্থে সরকারি তহবিলের পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির সহযোগিতায় আমরা নিজেরা আরেকটি তহবিল গঠনে কাজ করছি।’
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক আইনজীবী সালমা আলী প্রমুখ।
Discussion about this post