মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বিলিয়া সেন্টারে ‘গণতন্ত্র ও নির্বাচন কমিশনঃ সাম্প্রতিক ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনার আয়োজন করে বাংলাদেশ ল স্টুডেন্টস কাউন্সিল। সংগঠনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় সেমিনারে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফিউল আলম ভুঁইয়া, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আশিকুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল করিম ও মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার ফারজানা মাহবুব।
অধ্যাপক শফিউল আলম ভুঁইয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা যদি বজায় রাখতে হয় তাহলে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং একটি ভালো নির্বাচন কমিশন দরকার। বর্তমান নির্বাচন কমিশন অনেক গুলো ভালো নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন আবার কিছু কিছু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমাদের সর্বশেষ নির্বাচন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে অথচ বিএনপি এই নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক করেছে এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী তুলেছে; আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে হেরে গেলে অহেতুক দোষারোপের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা আমাদের রাজনীতিতে একটি রাজনৈতিক অবিশ্বাস তৈরি করে দিয়েছে; যার ফলে কোন বিষয়ে রাজনৈতিক সমঝোতা হওয়া কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তেমন আরেকটি ঘটনা হল ১/১১ এর ঘটনা; একটি অনির্বাচিত সরকার ৩ মাসের জায়গায় দুই বছর জোর করে ক্ষমতায় ছিল।
ব্যারিস্টার ফারজানা মাহবুব বলেন, সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপি এবং আরও কয়েকটি দল নির্বাচন কমিশনের যেসকল কর্মকর্তা নির্বাচন চলাকালীন সময়ে নির্বাচন পরিচালনা কাজে নিয়োজিত থাকবেন তাঁদেরকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার সুপারিশ প্রস্তাব করেছেন অথচ আমাদের ফৌজদারি কার্যবিধিতে সুনিদিষ্টভাবে বলা আছে যদি নির্বাচনকালীন সময়ে কোন সমাবেশ হয় এবং তার কারণে যদি শান্তিভঙ্গের কোন আশংকা থাকে তখন যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার থাকবেন তারা সিভিল এডমিনিস্ট্রেশনের এইড হিসেবে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগাতে পারেন অথবা জননিরাপত্তা রক্ষার জন্য সেনাবাহিনীর কোন কর্মকর্তা যদি কোন ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে ফোনে বা অন্য মাধ্যমে যোগাযোগ করতে না পারেন তখন তিনি নিজেই ক্ষমতা প্রয়োগ করে জননিরাপত্তা রক্ষা করতে পারেন। এখানে যেহেতু আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জননিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব দেয়াই আছে সেখানে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের নতুন করে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার কি প্রয়োজন তা আমার বোধগম্য নয়।
Discussion about this post