ময়মনসিংহের নান্দাইলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত জঙ্গি শফিউল ইসলামের মাসিক বেতন ছিলো ১২শ’টাকা। এই টাকায় তার খাওয়াসহ অন্যান্য সব খরচ চলতো। জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) তাকে এই টাকা দিতো।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, শফিউল ইসলাম জেএমবিতে যোগদানের পর থেকেই মাসিক বেতন হিসেবে ১২ শ’টাকা পেতেন। জঙ্গি নেতারা তরুণ জঙ্গিদের এতটাই মগজধোলাই দেয় যে, এই অল্প টাকার বিনিময়ে তারা সংগঠনের জন্য কাজ করেন। বিভিন্ন জঙ্গি হামলায় সশস্ত্র অংশগ্রহণ করে জীবন দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শফিউলের মতো তরুণরাই জঙ্গি সংগঠনের টার্গেট। তরুণদের ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জিহাদে প্রলুদ্ধ করা হয়। জঙ্গিবাদে যোগ দেয়ার পর থেকে এসব তরুণদের মাসিক বেতন দেয়া হয়।
র্যাব গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্ণেল আবুল কালাম আজাদ বলেন, র্যাবের সঙ্গেদ বন্দুকযুদ্ধে নিহত শফিউল ইসলাম মাসিক বেতন হিসেবে সংগঠন থেকে ১২শ’টাকা পেতেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, জঙ্গি সংগঠনগুলোর পেছনের অর্থদাতাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। যারা জঙ্গিবাদকে মদদ দিচ্ছে তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য যাচাই-বাচাই করে জঙ্গিবাদের অর্থদাতাদের গ্রেফতার করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার ( আগস্ট ৪) ময়মনসিংহের নান্দাইলে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শোলাকিয়ায় হামলায় জড়িত জঙ্গি শফিউল ইসলাম নিহত হয়। ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়া ঈদগাঁহ ময়দানে জঙ্গি হামলা চালায় সে। পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে।
নিহত জঙ্গি শফিউলের মা নার্গিস সুলতানা লাশ গ্রহণের সময় বলেন, যারা আমার সন্তানকে জঙ্গি বানিয়েছে আমি তাদের বিচার চাই।
Discussion about this post