নিজস্ব প্রতিবেদক: শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে চাপে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন দুই জোট। দলীয় মনোনয়নের পাশাপাশি শরিকদের দাবি পূরণে দুই জোটেই চলছে নানা হিসাবনিকাশ। নতুন রাজনৈতিক মেরূকরণের সুযোগে ছোট শরিকরাও বড় আবদার করছেন আসন নিয়ে।
জোট সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য শরিকদের জন্য অন্তত ৭০টি আসন ছাড়তে হতে পারে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের জন্যও ৬০ থেকে ৭০টি আসন ছাড়ার পক্ষে বিএনপি। আসন নিয়ে প্রাথমিক দরকষাকষি শুরু হলেও এখনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়নি। দু’একদিনের মধ্যেই দুই জোটের শীর্ষ নেতারা আসন নিয়ে আলোচনায় বসবেন শরিকদের সঙ্গে।
মহাজোটে জটিল সমীকরণ: একাদশ সংসদ নির্বাচনে আসন বণ্টন ও প্রার্থিতা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্রদের মধ্যে জটিল সমীকরণ চলছে। সর্বশেষ এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টি মহাজোটের হয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়ায় এ সমীকরণ আরো জটিল হয়েছে। দলটি ১০০ আসন চাইবে বলে জানা গেছে। ১৪ দলের শরিক দলের একাধিক শীর্ষ নেতা আলাপকালে জানান, বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট আগামী নির্বাচনে আসবে কিনা সেই অপেক্ষায় ছিলেন তারা। এখন তারা যেহেতু নির্বাচনে আসছে তাই আসন বণ্টনের বিষয়ে পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একই সঙ্গে সিদ্ধান্তের কিছুটা পরিবর্তনও হবে। তবে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে দর কষাকষি করে যত বেশি আসনে প্রার্থিতা নিশ্চিত করা যায় সেই লক্ষ্য থাকবে বলে জোটের নেতাদের বক্তব্যে আভাস পাওয়া গেছে।
এক্ষেত্রে জোটের প্রায় সব দলের নেতারাই বলছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের চেয়ে এবার আসনের দাবি বেশি থাকবে তাদের। ১৪ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, নির্বাচনে আগ্রহী জোটের দলগুলোর পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের কাছে অন্তত ৪০ থেকে ৫০টি আসনের জন্য জোর দাবি করা হতে পারে। যদিও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জোটের কোন কোন দল ইতিমধ্যে ১০০টিরও বেশি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে। তবে, জোটের নেতারা বলছেন, আসন দাবির ক্ষেত্রে তাদের দাবির সবটুকু পূরণ সম্ভব হবে না- এমন বাস্তবতা মেনে নিচ্ছেন তারা। তারা আরো বলছেন, নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট গঠিত হলে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) সহ অন্য দলগুলোর সন্তুষ্টির বিষয়টি নিয়েও যেমন ভাবতে হবে, তেমনি বাস্তবতা বিবেচনায় প্রত্যাশা ও ধারণার বাইরে আসন দাবি করাও সমীচীন হবে না। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি কিছুটা জটিল সমীকরণে পড়েছে বলে মনে করেন তারা।
১৪ দলীয় জোটের একাধিক শীর্ষ নেতা গণমাধ্যমকে জানান, বিএনপি নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেয়ায় আওয়ামী লীগ এখন তাদের নির্বাচনী জোটকে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এগুবে। এক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি (এরশাদ), বি. চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট, নাজমুল হুদার নেতৃত্বে বিএনএ (বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স), আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে বিএনএফ (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট) সহ আরো কিছু ছোট দল ও জোট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচনী জোটে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। তাদের বিষয়েও আওয়ামী লীগকে ভাবতে হবে। এতে করে জোটের কিছু শরিক দলের আসন সংখ্যা হয়তো কমে আসতে পারে। তবে, আওয়ামী লীগের বৃহৎ নির্বাচনী জোটে এরশাদের জাতীয় পার্টি অন্তর্ভুক্ত হলে জাতীয় পার্টিকে বেশি আসনে ছাড় দেয়ার বিষয়ে আপত্তি থাকতে পারে- এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। নেতারা বলছেন, বিগত সময়ে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে রাজপথে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৪ দলের নেতাকর্মীরা সক্রিয় ছিলেন। এক্ষেত্রে জোটের শীর্ষ দলের কাছে তাদের দাবি রয়েছে। তারা বলেন, সর্বোচ্চ ৫০টি আসনে আমাদের জোরালো দাবি থাকবে।
জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার পর্যন্ত আমাদের দলের ৭১ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এর মধ্যে বিজয়ী হওয়ার মতো ২০ থেকে ২৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে আমরা রাজপথে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সক্রিয় ছিলাম। বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও মোকাবিলা করেছি।
গত রবিবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বেশকিছু দল নির্বাচন কমিশনে আলাদা চিঠি দিয়ে নৌকা ও তাদের দলীয় প্রতীকে ভোটে অংশ নিতে চিঠি দিয়েছে। দলগুলো হলো- আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ (ইনু), গণতন্ত্রী পার্টি, সাম্যবাদী দল, জাতীয় পার্টি (জেপি), কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণআজাদী লীগ, ন্যাপ (মোজাফফর), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি ও বাসদ (রেজা)। এ ছাড়া নিবন্ধনহীন বাংলাদেশ জাসদও (আম্বিয়া) নৌকা প্রতীকে ভোটে আগ্রহ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সবকিছুই নির্ভর করছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের ওপর।’ জাসদ (ইনু) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে আমরা ৬টি আসন পেয়েছিলাম। এবার অবশ্যই আমরা আরো বেশি আসন চাইব। ইতিমধ্যে আমাদের দলের পক্ষ থেকে ১শ’র বেশি মনোনয়ন ফরম কিনেছেন আমাদের প্রার্থীরা। তবে, কতটি আসনে দাবি থাকবে সেটি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। বেশি আসনের দাবি থাকবে এটি বলতে পারি। ১৪ দলীয় জোটের শরিক গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুর রহমান সেলিম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের দলের ২৭ জন প্রার্থীর বিষয়ে একটি তালিকা আমরা প্রস্তুত করেছি। গত নির্বাচনে যেহেতু আমরা কোনো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারিনি, তাই এবারের নির্বাচনে প্রত্যাশা থাকতেই পারে। আর জোটের শরিক হিসেবে কিছু না কিছু আসন তো আমাদের দিতেই হবে।’
সর্বোচ্চ ৭০ আসনে শরিকদের ছাড় দেবে বিএনপি
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের শরিকদের জন্য সর্বোচ্চ ৭০ আসনে ছাড় দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি। তবে এখন পর্যন্ত আসন বণ্টনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অনেক জল্পনা-কল্পনার পর আন্দোলনের অংশ হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোও জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর বিএনপিকে এখন মোকাবিলা করতে হচ্ছে নতুন চ্যালেঞ্জ। আসন বণ্টন নিয়ে জটিলতায় রয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক জোটের শীর্ষ দল বিএনপি। যদিও জোটবদ্ধ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তাদের নতুন নয়। কিন্তু এবার বিএনপিকে সামাল দিতে হবে জটিলতর এক জোট-রাজনীতি। বিএনপি শরিক দলগুলোর পাশাপাশি যুক্ত রয়েছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
তাই হিসাবটা কিছুটা কঠিন। অতীতে জোটের শরিক জামায়াতের আসন বণ্টন নিয়ে দলে নেতাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নানা কোন্দল। এবার কোন দল কতটা আসনে লড়বে তা নিয়েই চলছে দরকষাকষি। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের পাঁচটি দলের মধ্যে বিএনপি বাদে বাকি দলগুলো ১৫০ আসনে প্রার্থী দেয়ার কথা ভাবছে। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দলগুলোও প্রার্থী দিতে চায় ১৫০ আসনে। প্রতিটি দলই মনে করছে নিজেদের যথেষ্ট ভোট রয়েছে ওইসব আসনে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপি কতটি আসনে জোট শরিকদের ছাড় দেয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়। এবার জোটের পাশাপাশি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ে। ফলে অনেক বেশি ছাড় দেয়ার মানসিকতা নিয়েই তাদের চূড়ান্ত করতে হবে প্রার্থী মনোনয়ন। কৌশলে শান্তিপূর্ণভাবেই মেটাতে হবে শরিক দলগুলোর আসন চাহিদা।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে মুখরিত থাকলেও দলটির দফায় দফায় নির্বাচনী মাঠ জরিপ করেছে নীরবে। নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নানা মাধ্যমে পরিচালিত এসব জরিপে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাংগঠনিক অবস্থান, জনপ্রিয়তা, প্রভাব ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে কয়েকটি তালিকা তৈরি করেছিল দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। তারই অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দলের পদপদবিতে না থাকা কিন্তু এলাকায় জনপ্রিয় কিছু নেতাকেও দলে ফিরিয়ে নেয়া হয়। এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর একদিকে সংলাপের তোড়জোড় চললেও অন্যদিকে নিজস্বভাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঠের অবস্থান যাচাই করেছে বিএনপি। এতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের শরিক দলের নেতাদের ৬০টি আসন পাওয়া যায়, যেখানে দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছাড় দেয়া যায়। কিন্তু প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা ও জাতীয় রাজনীতি বিবেচনায় তার সঙ্গে ১০টি আসন যোগ করে সর্বোচ্চ ৭০টি আসনে ছাড় দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি। যদিও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর চাহিদা রয়েছে অন্তত ২০০ আসনের। নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকেই প্রতিটি দল তাদের প্রার্থী মনোনয়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে জোরালোভাবে।
এদিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর কাছে প্রার্থী তালিকায় চায় বিএনপি। সে অনুযায়ী দলগুলো সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা জমা দিয়েছে। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলো দুয়েকদিনের মধ্যে তাদের তালিকা দেবে। সব শরিক দল থেকে তালিকা পাওয়ার পর সমঝোতার ভিত্তিতে প্রার্থীদের আসন চূড়ান্ত করা হবে। নেতারা জানান, তিন ক্যাটাগরিতে বণ্টন হবে নির্বাচনী আসন। প্রথমত, যেসব আসনে বিএনপির শক্ত সাংগঠনিক অবস্থান ও প্রার্থী রয়েছে সেসব আসনের প্রার্থী তালিকা ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, যেসব আসনে জোট ও ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের শক্ত সাংগঠনিক অবস্থান ও প্রার্থী রয়েছে সেগুলো নিয়েও অযথা জটিলতা করবে না বিএনপি। তৃতীয়ত, যেসব আসনে বিএনপি ও জোটের শরিকদের শক্ত অবস্থান এবং প্রভাবশালী প্রার্থী রয়েছে কিংবা জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে ঐক্য ধরে রাখতে ঐক্যফ্রন্ট ও শরিক দলগুলোর প্রার্থীদের ব্যাপারে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে সবক্ষেত্রেই মনোনয়ন দেয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে দলগত ও ব্যক্তিগত ভোটব্যাংকের হিসাব। বিএনপি সূত্র জানায়, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে সমন্বয়ক করা হয়েছে আসন বণ্টনের।
বিএনপি নেতারা বলছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত হবে। এবার সম্পূর্ণ প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে। এ বিষয়টি জোটের সব শরিকের মনে রাখতে হবে। আসন বণ্টনের ব্যাপারে সবাইকে দেখাতে হবে সর্বোচ্চ উদারতা। অন্যদিকে জামায়াতের এক নেতা জানান, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জামায়াত জোটের সমর্থন পেয়েছিল ৩৩টি আসনে। চারটি আসনে বিএনপি-জামায়াত লড়েছিল যৌথভাবে। কিন্তু এবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় জামায়াত ছাড় দেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে আসন চাইবে। তবে ২০ দলীয় জোটের দ্বিতীয় বড় দল হিসেবে বিএনপিও নিশ্চয়ই আমাদের বিষয়টি সম্মানের সঙ্গে বিবেচনায় রাখবে।
আসন বণ্টন নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের শরিক নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা কোনো তালিকা দেইনি। তবে ৪০টি আসন নিয়ে আমরা কাজ করছি। আর এখন পর্যন্ত আসন বণ্টন নিয়ে কোনো কমিটি বা সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া গণফোরাম ৩০, জেএসডি ৩০, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ২০টি আসন চায়। তবে তাদের জন্য ১৫টি আসন ছাড় দেয়া হবে। ভোটের আগে জাতীয়ভাবে পরিচিত সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিলে তাদের জন্য ছাড়া হবে পাঁচটি আসন। সবমিলিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জন্য ছাড় দেয়া হবে ২০ আসন। বিএনপি সূত্র জানায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম ৩-৪টি আসনে সমর্থন পেতে পারেন। অনিবন্ধিত এ দলটির আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও উপদেষ্টা এসএম আকরাম জোটের মনোনয়ন পেতে পারেন।
বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভোট ব্যাংক, প্রভাবসহ নানা বিবেচনায় দলটিকে টাঙ্গাইলের দুইটি আসনে ছাড় দেয়া হতে পারে। কাদের সিদ্দিকী, দলের সাধারণ সম্পাদক হাবীবুর রহমান বীরপ্রতীক ও যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী জোটের মনোনয়ন পেতে পারেন। এছাড়া জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনের জোটের মনোনয়ন পাওয়া প্রায় নিশ্চিত। ঐক্যফ্রন্টের শরিক বিকল্পধারা বাংলাদেশ (একাংশ) ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিকল্পধারা বাংলাদেশ একাংশের চেয়ারম্যান প্রফেসর নুরুল আমিন ব্যাপারি একটি আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন।
Discussion about this post