নিজস্ব প্রতিবেদক: আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে অবিলম্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পাঠাতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদন আগামীকাল বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন চেম্বার বিচারপতি।
আজ বুধবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ দিন ধার্য করেন।
গতকাল মঙ্গলবার শহিদুল আলমকে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অবিলম্বে বিএসএমএমইউয়ে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তার স্বাস্থ্যগত বিষয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা আজ দুপুরে চেম্বার বিচারপতির আদালতে ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও অমিত তালুকদার। অন্যদিকে, রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান, শাহদীন মালিক, সারা হোসেন ও তানিম হোসেইন।
পরে আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করেছিল। চেম্বার বিচারপতি স্থগিতাদেশ না দিয়ে আবেদনটি বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের করা আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ বক্তব্য প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা এ মামলায় এই আলোকচিত্রী ডিবি হেফাজতে সাত দিনের রিমান্ডে আছেন।
শহিদুল আলমকে আটকের পর নির্যাতন ও রিমান্ডে পাঠানোর বৈধতা নিয়ে এবং চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশনা চেয়ে তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ গতকাল রিট করেন। এতে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ডিআইজি (ডিবি) ও রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিবাদী করা হয়।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত শনি ও রবিবার জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে আসেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। রবিবার রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাঁকে তুলে নেয় ডিবি। নিরাপদ সড়কের দাবিতে সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
Discussion about this post