শনিবার (০৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অজ্ঞাতদের আসামি করে নিহতের ছেলে রাসেল আহম্মেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে, এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
নিহতের ছেলে থানায় গিয়ে বাবার মরদেহ শনাক্তের পর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর পরিচয় পায় পুলিশ। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার মহানন্দখালীতে।
তিনি রাজবাড়ি জেলার রগায়ালন্দ উপজেলার পীর ইমাম মেহেদী ওয়াকাফ স্টেট তরিকার মুরিদ ছিলেন। শুক্রবার (০৬ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি।
নিহতের ছেলে রাসেল আহম্মেদ জানান, তার বাবা শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর গোলাবাড়ি গ্রামে যাচ্ছিলেন। এরপর থেকে তার খোঁজ পাচ্ছিলেন না।
পরে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাঁধাইড় ইউনিয়নের জুমারপাড়ায় আবুল হাসানের আম বাগান থেকে তার গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রাজশাহীর তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রায়ই তাদের বাড়িতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই পীরের মুরিদরা আসতেন। শহীদুল্লাহও মাঝে মধ্যে ভক্তদের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। এখন হত্যাকাণ্ডের পেছনে এর কোনো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা, তারা বুঝতে পারছেন না।
তবে, পবার নওহাটা এলাকার মৃত আবদুল মালেকের ছেলে শাজাহান ও পিয়ার আলীর সঙ্গে ১০ বছর ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে তাদের।
তাই পীরের মুরিদ হওয়া বা জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে এই দুইটি বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (০৬ মে) সন্ধ্যায় স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে তানোর উপজেলার জুমারপাড়া আমবাগান থেকে শহীদুল্লাহর গলা কাটা মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
Discussion about this post