নিজস্ব প্রতিবেদক: রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আর এর মধ্যে দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হলো। এ সময় তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী ১০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত আসামি শাহেদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দিয়ে এই আদেশ দেন।
এর আগে শাহেদকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তারপর অভিযোগ গঠন শুনানিতে আসামি পক্ষের আইনজীবী তাকে নির্দোষ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাদের আবেদনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
তার আগে, গত ১৯ আগস্ট মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াত মামলার অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেন। এরপর মামলার নথি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করেন। এর আগে ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুল আসামি শাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এছাড়া গত ২৬ জুলাই তাকে সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে শাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। এরপর গত ১৯ জুলাই তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযানে যায় ডিবি পুলিশ। সেখান থেকে শাহেদের গাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়। ১৬ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানার প্রতারণার মামলায় শাদেহের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৬ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানায় তিন ও উত্তরা পূর্ব থানায় প্রতারণার মামলায় সাত দিন করে ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একই দিন সাতক্ষীরার অস্ত্র মামলায় তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
Discussion about this post