অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদক চোরাচালান বন্ধে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে।
অপারেশন আইরিনের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ঢাকা চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে একযোগে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানে বিজিবি, র্যাব, কাস্টমস কর্মকর্তা, সিভিল এভিয়েশন সহযোগিতা করছে।
বেলা ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে চারটি ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের কাছে কোন ধরনের অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদক পাওয়া যায়নি বলে জনিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ পরিচালক এসএম শামীমুর রহমান।
তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে আমরা অভিযান শুরু করেছি। এখনো পর্যন্ত কোন ধনের অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদক পাওয়া যায়নি। এ অভিযান বিকেল পর্যন্ত চলবে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত সোমবার (১৮ জুলাই) থেকে দুইদিন বন্দর জেটিতে বিজিবির ডগ স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। বিজিবির ডগ স্কোয়াডের তিনটি কুকুর দিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কর্মকর্তারা এ অভিযান পরিচালনা করেন। বন্দর, কাস্টমসসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অভিযানে সহায়তা করে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে আসিয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৩৩টি দেশের মতো বাংলাদেশেও চলছে কম্বিং অপারেশন ‘আইরিন’। গত ৮ জুলাই থেকে বাংলাদেশে এ অভিযান শুরু হয়। মূলত দেশের বিমান, স্থল, নৌ বন্দরগুলোতে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। শনিবার (২৩ জুলাই) এ অভিযান শেষ হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) অধীনে ‘রিজিওনাল ইন্টেলিজেন্স লিয়াজোঁ অফিস ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক’ (রাইলো-এপি) এ অভিযানের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছে।
Discussion about this post