ধর্ম অবমাননার অভিযোগে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য (জাপা) সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২২ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (৬ আগস্ট) মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে সেলিম ওসমানের অসুস্থ থাকায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। পরে ঢাকা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আরা আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিত করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান সবার সামনে ওই শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করান। এর এক পর্যায়ে শ্যামল কান্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ওই রাতেই তাকে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরদিন শহরের খানপুরে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডা. শফিউল আজমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০ মে পুলিশি প্রহরায় শ্যামল কান্তি ভক্তকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
২০১৬ সালের ১০ আগস্ট শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কানধরে উঠবস করানোর ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান জড়িত কি না সে বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
আদালত ওইদিন আদেশে বলেন, কান ধরে উঠবসের ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সম্পৃক্ততা নেই মর্মে পুলিশের প্রতিবেদনে প্রকৃত সত্য তুলে ধরা হয়নি। পুলিশের প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য।
২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদন দাখিল করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ হাফিজুর রহমান ওই প্রতিবেদন হলফনামা আকারে দাখিল করেন। বিচারক শেখ হাফিজুর প্রতিবেদনে ছয়টি সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন।
Discussion about this post